রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার মহিলার মৃত্যু রহস্য ফাঁস

0
2327

ডেটলাইন বাঁকুড়াঃ রেল লাইনের ধারে এক বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃতের পরিবার। অভিযোগের সূত্র ধরে খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। অভিযুক্ত আনন্দ গরাই নামে এক হকারকে গ্রেপ্তার করল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। বাড়ি বাঁকুড়া শহরের গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতকে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে কেশরা এলাকায় বাঁকুড়া -আদ্রা শাখার রেল লাইনের ধার থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পরে মৃতের পরিবার মর্গে গিয়ে দেহ সনাক্ত করে। মহিলার নাম পম্পা চট্টোপাধ্যায় (৩৭)। ছাতনা থানার হাতিশাল এলাকায় থাকতেন। এবং অঙ্গনওয়াড়ীর সহায়িকার কাজ করতেন। বছর ১১ আগে মহিলার স্বামী বাইক দূর্ঘটনায় মারা যান। সেই থেকে বাপের বাড়ীতেই থাকতেন তিনি। তার কলেজ পড়ুয়া এক ছেলেও রয়েছে। জানা গেছে, বছর কয়েক আগে এই মহিলার সাথে আনন্দের পরিচয় হয় এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মহিলার বাড়ীতেও আনন্দের যাতায়াত ছিল। রবিবার দুপুরে ডাক্তার দেখানোর নাম করে পম্পা দেবী বাড়ী থেকে বের হন এবং আনন্দ শহরে ডাক্তারের চেম্বারে নাম লিখিয়ে রেখেছে বলেও বাড়ীতে মাকে জানান। তারপর, থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরদিন মর্গে গিয়ে তার মৃতদেহ সনাক্ত করে পরিবার। মৃতদেহ সহজে না চেনা যায় তার জন্য পম্পার মুখ ভারি জাতীয় কিছু দিয়ে থেতলে দেয় খুনী। মৃতদেহের কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল। অন্য কোথাও মেরে দড়ি দিয়ে টেনে লাইনে ফেলে দিয়ে, রেলে কাটার ঘটনা বলে চালাতে চেয়েছিল খুনী এমনটা মনে করছে পুলিশ। আনন্দের নামে খুনের অভিযোগ সদর থানায় দায়ের করেন মৃতার দাদা অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। তার পরই তদন্তে নেমে খুনের ঘটনায় আনন্দকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ  গ্রেপ্তার করে। আনন্দ ও পম্পার পরকীয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েন এই খুনের মোটিভ বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন ও ১০২ ধারায় প্রমান লোপাট এর চেষ্টার অভিযোগ রুজু করেছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here