প্রণয় রায়,দুর্গাপুরঃ ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোটো সে তরী আমারই সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। সত্যিই কুসুমতরী নামটি ছোট। কিন্তু এর প্রসার কত বড়। এর প্রতিটি পাতাই ভরে উঠেছে কত মরমি মনের কবিতার সম্ভারে। একটার পর একটা পাতা উল্টালাম। কিন্তু এ তো শুধু কবিতা নয়, অনেকগুলি দরদী নারী মনের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা রাগ ও অভিমানের ব্যঞ্জনাময় কত কথা। প্রতিটি কবিতাই যেন নারী মনের অন্তঃপুর থেকে নিংড়ে নেওয়া একরাশ কথামালা। কাকলি গুহ রক্ষিত এ সময়ের একজন বিদগ্ধ কবি ও সম্পাদক। প্রতি বছর শুধুমাত্র মহিলা কবিদের নিয়ে সাহসের সঙ্গে একা একাই কুসুমতরীর হাল ধরে কবিতার সমুদ্রে কত মহিলা কবিদের এক জীবনের কান্না হাসির দোল দোলানো মনের কথার নকশী কাঁথা বুনে চলেছেন। কুসুমতরীর এ বছরের অনুষ্ঠান দুর্গাপুরের প্রয়াত কবি সুশীল নাগের স্মরণে নিবেদিত। তিনি খুব বড় মাপের কবি ছিলেন। দুর্গাপুরের সাহিত্য জগত চিরদিন মনে রাখবে কবি সুশীল নাগকে। সিটি সেন্টারের নন কোম্পানি হাউসিং সোসাইটির ছোট্ট প্রেক্ষাগৃহে সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট কবি বিখ্যাত ‘লাল পাহাড়ীর দেশে যাব’ কবিতার রচয়িতা অরুণ চক্রবর্তী ও কবি সুশীল নাগকে স্মরণ করে এক কবিতা যাপন অনুষ্ঠান। মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানে মহিলা কবিরা তাদের কবিতা পাঠ করেন।