ডেটলাইন কলকাতাঃ পুজোর ঠিক আগে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের শিকার হল কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিটের বহু পুরাতন বাগরি মার্কেট। জানা গেছে,আগুনে শতাধিক দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। যদিও এটা প্রাথমিক হিসাব। আরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ওষুধ,প্লাস্টিক সামগ্রি এবং প্রসাধনী জিনিসপত্রের জন্যই বিখ্যাত বাগরি মার্কেট। সামনেই পুজো তাই তার আগে প্রসাধনীর দোকান গুলিতেও প্রচুর মালপত্র রাখা ছিল। শনিবার মধ্যরাতে ৩টে নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে বাগরি মার্কেটে। বিল্ডিংটির একতলা এবং দোতলার দোকানগুলি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিন। রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকল সূত্রে খবর, বিল্ডিংয়ে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। শহরের ব্যস্ততম এই এলাকার মার্কেটে আগুন লাগায় পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্কের সঞ্চার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, ডিজি ফায়ার এবং পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দমকলকর্তারা জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনই শিল্প সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট গেলেন এবং সেখান থেকে ইতালির মিলান যাবেন। তিনি জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত হবে। বাগরি মার্কেটের এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বছর দশেক আগে বড়বাজারের নন্দরাম মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ফিরে এলো কলকাতায়। নন্দরাম মার্কেটের বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল প্রায় ৪০০০ দোকান। সেবার ৪২টি ইঞ্জিন দিয়েও আগুন আয়ত্ত্বে আনতে পারেনি দমকল। বাগরি মার্কেট পুড়ে যাওয়ায় সেখানকার দোকানদাররা যেমন পথে বসলেন তেমনই সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অনেক ছোট ব্যবসায়ীদেরও চোখে জল। কারন এই মার্কেটেই পাওয়া যেত এমন অনেক সস্তা জিনিসপত্র যা নিয়ে এসে তারা বিক্রি করে সংসার চালাতো। সব মিলিয়ে বাগরি মার্কেটের এই অগ্নিকান্ড ছোট বড় অনেক ব্যবসায়ীর চোখেই জল এনে দিল।