ডেটলাইন পূর্ব বর্ধমানঃ ভাগাড়কাণ্ডের জেরে অবশেষে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের নেশায় ভাগাড়ের মৃত মুরগির মাংস যেমন হোটেলের ক্রেতাদের বিক্রি করছে তেমনই অনেক রেস্টুরেন্টও তাদের ফ্রিজে রেখে দেওয়া পচা মাংস এবং অন্যান্য নষ্ট হয়ে যাওয়া সবজি ইত্যাদি দিয়ে রান্না করা খাবার ক্রেতাদের পাতে দিচ্ছে বলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন পুরসভার তরফে এনিয়ে অভিযানও করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টের পচা নষ্ট হওয়া খাবারও। ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে একাধিক হোটেলের বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজ্যে খাদ্যের গুনাগুন পরীক্ষার সেরকম পরিকাঠামো না থাকায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে খাদ্য দফতর। এবার সেই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হল সরকার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পাঁচটি আঞ্চলিক খাদ্য পরীক্ষাগার তৈরীর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার বর্ধমানে একথা জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানান এই ৫টি পরীক্ষাগার হবে শিলিগুড়ি, বীরভূম, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলী জেলায়। প্রতিটির জন্য গড়ে ২০-২২ কোটি টাকা খরচ হবে। পুজোর পরই এই পাঁচটি আঞ্চলিক পরীক্ষাগার চালু হয়ে যাবে। এছাড়া কলকাতায় দেশ তথা এশিয়ার অন্যতম অত্যাধুনিক মুখ্য খাদ্য পরীক্ষাগারটি তৈরী হবে। তা ডিসেম্বরেই চালু হবে। এরজন্য খরচ হবে ১৩০ কোটি টাকা। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান,চাল, গম, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল থেকে তৈরী খাবারসহ মাছ,মাংস সব ধরনের খাবারই পরীক্ষা করা হবে এই পরীক্ষাগারগুলিতে।