ডেটলাইন কলকাতাঃ প্রয়াত হলেন প্রাক্তন সাংসদ, বিশিষ্ট আইনজীবী এবং লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮৯। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকমগ্ন দেশের রাজনৈতিক মহল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই শোকপ্রকাশ করেছেন। শোক জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সোমনাথবাবুর প্রাক্তন দল সিপিএমের পলিটবুরো থেকেও। সোমবার বিধানসভায় গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হল প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সব দলের রাজনৈতিক নেতারা। সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান, অধীর চৌধুরি, বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা তাঁদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাজনৈতিক জীবনে রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকেই আদর্শ করে চলতেন সোমনাথবাবু। তাই জ্যোতি বসুর মতো তিনিও মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন। এসএসকেএম হাসপাতালে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর দেহের পাশেই রাখা হবে প্রয়াত প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর চোখদুটি নেবে প্রিয়ংম্বদা বিড়লা আই হাসপাতাল। এসএসকেএম হাসপাতালে ত্বক সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত রোগের কাছেই আত্মসমর্পণ করেন কমরেড জ্যোতিবসু। এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে রাখা হয় জ্যোতিবাবুর দেহ। তাঁর দেহের সৎকার হয়নি। তিনি তাঁর চোখ দান করে গেছেন। তাঁর মরদেহ ব্যবহৃত হবে মেডিক্যাল কলেজের গবেষণায়। আজ আট বছর পর ২০১৮-র ১৩ অগাস্ট, সেখানেই ঠিক তাঁর পাশেই শায়িত থাকবেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। কেবল জ্যোতি বসু নয়, পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী অনেক নেতা মরণোত্তর দেহ দান করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা অনিল বিশ্বাস, পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রমূখ।