ডেটলাইন বেঙ্গালুরুঃ বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমানের জন্য রাজ্যপাল ১৫ দিন সময় দিয়েছিলেন। আর কংগ্রেসের মামলার পর সুপ্রিম কোর্ট মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে আস্থা ভোট দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া ইয়েদুরাপ্পাকে। বিকেল ৪টের সময় আস্থাভোটের সময় থাকলেও তার আগেই ইস্তফা দিয়ে দেন দু’দিন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের পক্ষ থেকে বারবারই দাবি করা হচ্ছিল, বিজেপির সঙ্গে যথেষ্ট সংখ্যক বিধায়ক নেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার। শনিবার সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনায় গোটা দেশের নজর ছিল কর্ণাটক বিধানসভার দিকে। কিন্তু আস্থা ভোটে জেতা সম্ভব নয় বুঝেই শেষ মুহূর্তে ইয়েদুরাপ্পা রণে ভঙ্গ দিলেন এবং রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসেন। গত ১২ মে হওয়া কর্নাটক বিধানসভা ভোটে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু ফল ঘোষণার পরই কংগ্রেস এবং জেডিএস যৌথভাবে সরকার গড়ার দাবি জানায়। তারা জানায়, ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন আছে তাদের সঙ্গে। জেডিএস নেতা কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানান রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টি বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডাকেন রাজ্যপাল। ১৫ দিন সময়ও দেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবারই আস্থা ভোটের দিন নির্ধারিত হয়। ফলে সব হিসেব পাল্টে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এবার সরকার গড়তে রাজ্যপাল কংগ্রেস-জেডিএস নেতাদের ডাকবেন। এদিকে কর্ণাটকে পাশা ওল্টাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট বার্তায় বলেছেন,‘গণতন্ত্রের জয়। কর্ণাটকবাসীকে শুভেচ্ছা। অঞ্চলিক জোট শক্তির জয়।’ ট্যুইটারে উচ্ছসিত মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, জেডিএসের কুমারস্বামী, এইচডি দেবগৌড়া এবং কংগ্রেস নেতৃত্বকেও।