ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অধ্যক্ষ ঘেরাও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে

0
795

ডেটলাইন বীরভূমঃ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনেজেরে ২১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীসহ অন্যান্য অধ্যাপকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে থেকে লিপিকা অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেঅধ্যাপকদের বৈঠকে হয়। তবে সমাধান সূত্র না মেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ, আন্দোলন। রাতভর চলে ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচী। এরপর সকালে আটকে থাকাঅধ্যাপকরা বেরোতে চাইলে পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দু’পক্ষই এক অপরের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছে। ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়েরএকাধিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য,২০১৯ সালে বিশ্বভারতীতে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে মাথায় হাত পড়েছে পড়ুয়াদের। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণী, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা এবং অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। কিন্তু ভর্তির জন্য আবেদন-ফি এ বছর দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে আবার বৃদ্ধির পরিমাণ দশগুণ ছুঁয়েছে! একই সঙ্গে নতুন যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও ভর্তির ফি গতবারের তুলনায় কিছু বাড়বে বলে খবর বিশ্বভারতী সূত্রে।  এরই প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, মঙ্গলবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা অ্যাডমিশন ফর্মের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন। এক শ্রেণির ছাত্রছাত্রী উপাচার্য এবং অন্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের ঘেরাও করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পাঁচ ঘন্টা আলোচনা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাডমিশন ফর্মের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে ঘেরাও মুক্ত হয়েছেন উপাচার্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here