জন্মিলে মরিতে হবে…
অমর কে কোথা কবে…
হায়রে জীবন নদে……।।
হ্যাঁ এটাই সত্যি। আবার এটাও সত্যি ,এমন কিছু মানুষ থাকেন যাদের অকালে চলে যাওয়াকে আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারি না। এমনই একজন ব্যক্তি হলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখার বিচক্ষণ আধিকারিক সুজিত মুখোপাধ্যায়। যিনি দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন। তিনি শুধু একজন দক্ষ পুলিশ অফিসারই ছিলেন না।
একই সঙ্গে সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক জগতেও ছিল তাঁর সাবলীল ও আন্তরিক ভূমিকা, যা তাঁর শুধু সহকর্মীদেরই নয়, মুগ্ধ করেছিল সাধারন মানুষকেত্ত। তাই তাঁর অকাল প্রয়াণে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে এবং একই সঙ্গে দুর্গাপুরের সাংস্কৃতিক মহলেও।
সাইবার ক্রাইম বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে প্যারিস পাঠানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে সারা দেশ থেকে যে ১২ জনকে প্যারিস পাঠানো হয়েছিল তাদেরই একজন ছিলেন সুজিত বাবু। পুলিশের আইন কানুন যেমন তাঁর দুরন্ত ভাবেই রপ্ত ছিল তেমনই নিজে গান গাইতে পারতেন, গান লিখতেনও। খুব ভালো আবৃত্তি করতে পারতেন। অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেত্ত তাঁর সামাজিকতা ও মানবিকতা সমান ভাবে জাগ্রত থাকত। তাই চেষ্টা করতেন মানুষকে অপরাধ থেকে সরিয়ে আনতে এবং তাদের সুস্থ জীবনের স্রোতে ফিরিয়ে আনতে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকার সময় দেখা গেছে তিনি দক্ষ পুলিশ কর্তার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেত্ত হাজির থেকে উৎসাহ দিতেন। বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য বোঝাতেন। নিজে যেমন শৃঙ্খলা মেনে চলতেন তেমনি অন্যদেরত্ত এবিষয়ে সচেতন করতেন। সুজিত বাবুর প্রয়াণে জুনিয়র পুলিশকর্মীরা হারালেন তাদের একজন প্রিয় ও আদর্শ শিক্ষককে। সাইবার ক্রাইম বিভাগ হারালো একজন দক্ষ ও বিচক্ষন অফিসারকে। আর সাধারন মানুষ হারালেন একজন সামাজিক ও মানবদরদি বন্ধুকে। ডেট লাইন বাংলা নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
একটি সংগৃহীত ভিডিও দেওয়া হল…