ডেটলাইন কলকাতাঃ করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। টানা লক ডাউন উঠে গিয়ে রাজ্যে এখন সাপ্তাহিক লক ডাউন চললেও অন্যান্য সব কিছু প্রায় খুলে গেলেও শিক্ষাক্ষেত্র এখনও বন্ধ। কবে খুলবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রায় সব ছাত্রছাত্রীদেরই ভরসা অনলাইন মাধ্যমে পড়াশোনা। কিন্তু, এর মধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের তরফে স্কুলের বেতনসহ অন্যান্য ফিস জমা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের উপর চাপ দেওয়া শুরু হয়। কোনো কোনো স্কুল তো তাদের বেতন বৃদ্ধির কথাও জানায়। এমনকি, লক ডাউন চলাকালিন পরিবহন পরিষেবাসহ যে সব পরিষেবা ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়নি, অনেক স্কুলের পক্ষ থেকে সেই সব পরিষেবা বাবদ ফিস জমা দেওয়ার কথাও জানানো হয়।এই অবস্থায় ক্রমশ অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে। করোনা ছাড়া অন্য যে বিষয়টি নিয়ে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি উত্তাল হয়েছিল রাজ্য তা হল স্কুলের বেতন প্রদান নিয়ে বিতর্কের ঘটনা। অভিভাবকদের যুক্তি, এই লকডাউনের মধ্যে বেতন যেমন বৃদ্ধি করা যাবে না, তেমনি যে পরিষেবা নেওয়া হয়নি, সেই বাবদও কোনও টাকা দেওয়া হবে না। এছাড়াও, অভিভাবকদের দাবি ছিল বেতনের টাকা কিস্তিতে নেওয়া হোক। কিন্তু এই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ খানিকটা অনড় থাকায় বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। ক্রমশই সারা রাজ্যে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে কলকাতা উচ্চ আদালত আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে স্কুলের বকেয়া বেতনের ৮০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে বেশ সমস্যায় পরেছেন অভিভাবকেরা। পাশাপাশি, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেতন জমা না দেওয়ার যে আবেদন সেটাও খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে স্কুলগুলি তাদের কর্মীদের বেতন দেওয়া, পরিকাঠামোর উন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে। মোট ১১২-টি স্কুলের জন্য এই রায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। এই সময়সীমা পর্যন্ত কোনো স্কুল পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।