ডেটলাইন আসানসোলঃ গত বছরের শেষের দিকে দুর্গাপুর ও কালনায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি আদিবাসীদের সামাজিক উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দেন। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন,তারা যেন আদিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের খোঁজখবর নেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের নিয়ে উংসবের কথাও বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষনার পরেই আদিবাসীদের নিয়ে রাঙামাটি স্পোর্টসের আয়োজন হয় জেলায়।
ইতিমধ্যে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পরিচালনায় প্রায় প্রতিটি থানা এলাকাতেই রাঙামাটি খেলা উৎসবের আয়োজন হয়েছে। সেই সব প্রতিযোগিতায় সফল দল ও খেলোয়াড়দের নিয়ে এবার আসানসোলের পোলো ময়দানে আজ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রাঙামাটি খেলা উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা।
এই প্রতিযোগিতায় সেরা পুরুষ খেলোয়াড়কে বাইক ও মেয়েদের বিভাগে সেরা খেলোয়াড়কে স্কুটি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।
এই পুরস্কার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত হলেন বিজয়ী খেলোয়াড়রা। এছাড়াও বিগত সময়ে থানা এলাকাগুলিতে যারা সফল হয়েছেন তাদেরও এদিন পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক,আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ন মিনা,আসানসোলের মেয়র জীতেন্দ্র তেওয়ারী,এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুরের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল সহ প্রায় সব থানার আধিকারিকরা। ছিলেন একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি। মেয়র জীতেন্দ্র তেওয়ারী পুলিশের এই ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় রাঙামাটি উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার সঞ্চার হয়েছে। আর এর জন্য অবশ্যই পুলিশের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন,কমিশনারেট হওয়ার পর আসানসোল ও দুর্গাপুরে পুলিশ অনেক সুচারুভাবে কাজ করতে পারছে।
কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ন মিনা বলেন,রাঙামাটি খেলা উৎসবের মাধ্যমে অনেক প্রতিভাধর খেলোয়াড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই উৎসব বাস্তবিকই ক্রিড়া প্রতিভাদের উঠে আসার এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠেছে।
তিনি জানান,জেলায় প্রতিভাধর খেলোয়াড়দের সাহায্যে সর্বদাই কমিশনারেট এগিয়ে আসবে।