রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধেই প্রচার বামেদের

0
740

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ রাজ্যে তৃণমূল আর কেন্দ্রে বিজেপি এই দুই সরকারের আমলেই সারা দেশে শিল্প,শ্রমিক,কৃষক যেমন চরমভাবে আক্রান্ত হয়েছে তেমনই মারাত্মকভাবেই কমেছে কর্মসংস্থানের সুযোগও। বিগত এক বছরে সারা দেশে এক কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে সরকারী রিপোর্টেই প্রকাশিত হয়েছে। এই পরিস্থিতির কথাই নির্বাচনী প্রচারে তুলে ধরছে বাম প্রার্থীরা। এদিন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামপ্রার্থী আভাষ রায়চৌধুরী দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই তাদের দলীয় বার্তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,দুর্গাপুরে সার কারখানা,এমএএমসি বন্ধ হয়েছে। এএসপির ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। রাজ্য সরকারের ডিসিএল বন্ধ। ডিপিএলকে তিন টুকরো করে মৃতপ্রায় করে তোলা হয়েছে। অথচ বামফ্রন্ট আমলে দুর্গাপুরের অবস্থা এমনটা ছিল না। দুর্গাপুর এবং এখানকার শিল্পকে বাঁচাতে আমাদের লড়াই ছিল আছে এবং থাকবে। সাধারন মানুষ জানেন আমরা এসবের পক্ষে ধারাবাহিক লড়াই করে এসেছি। তাই সংসদের ভেতরে আমাদের প্রতিনিধি যত বাড়বে ততই দেশের শিল্প,কৃষি ও শ্রমিকস্বার্থকে বাঁচিয়ে তোলার শক্তি বাড়ানো যাবে। উল্লেখ্য,লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ৪২টি আসনেই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এরপর বিজেপি ও সিপিআইএম সম্পূর্ণ না হলেও বেশ কিছু আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেও কংগ্রেস এখনও তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের জোট নিয়েও জটিলতা চলছে। আসানসোলে এখনও বামপ্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। দুর্গাপুর লোকসভা আসনে বামেরা প্রার্থী দিলেও কংগ্রেস প্রার্থী দেবে কিনা তাও পরিস্কার নয়। যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তরুন রায় জানান, জোট নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তিনি আসানসোল ও বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলেই মনে করেন। খুব শিঘ্রই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here