ডেটলাইন দিল্লিঃ দেশের মধ্যে প্রথম ১৪ লেনের গ্রিন হাইওয়ের উদ্বোধন হল দিল্লিতে। দিল্লি-মেরঠ মহাসড়ক দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম। সর্বদা খুব বেশি সংখ্যায় গাড়ি চলাচল করায় দিল্লির সঙ্গে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশের সংযোগ রক্ষাকারী এই রাস্তায় নিত্যদিন ট্র্যাফিক জ্যাম লেগেই থাকে। তাই সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ লেনের রাস্তা হিসেবে গড়ে তোলা হল এই সড়কটিকে। রবিবার দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনের পর নরেন্দ্র বিশাল কনভয়সহ এই রাস্তায় মোদি রোড শো করেন। দীর্ঘ রাস্তার দুধারে প্রচুর মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে ভীড় জমান। তিনিও তাদের হাত নাড়তে থাকেন। গুরুত্বপূর্ণ ওই মহাসড়কের গতি বাড়াতে এটিকে ১৪ লেনের রাস্তা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এত চওড়া রাস্তা ভারতের আর কোথাও নেই। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকড়িও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ৩১টি ট্র্যাফিক সিগন্যাল পয়েন্ট তুলে নিয়ে এই মহাসড়কে যান চলাচলের গতি বাড়ানো হচ্ছে। এখন দিল্লি থেকে মেরঠ পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা লাগে। ১৪ লেনের রাস্তার তৈরি হওয়ার ফলে দিল্লি থেকে মেরঠ মাত্র ৪০ মিনিটেই পৌঁছনো যাবে। একই দিনে ১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়েরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট ৮৪১ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছে এই সড়ক। যমুনা সেতুর ওপর এই সড়কের দু’ধারে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। সেতুর ওপর থাকবে দেওয়াল বাগিচা ও জল সাশ্রয়কারী সেচ। নিজামুদ্দিন থেকে গাজিয়াবাদের মধ্যে ১২টি লেনে চলাচল করবে গাড়ি। এর মধ্যে ৮টি লেন ব্যবহৃত হবে হাইওয়ে হিসাবে। এক্সপ্রেসওয়ের দু’পাশে ২.৫ মিটার চওড়া সাইকেল চালানোর সড়ক ও ১.৫ মিটার চওড়া ফুটপাথ রয়েছে। ৫০০ দিনে শেষ হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। এই সড়ক চালু হওয়ায় দিল্লি ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ সুগম হবে। গোটা প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে মোট ৩১টি ট্রাফিক সিগনালের বাধা থেকে মুক্তি পাবে গাড়ির চালক ও সাধারণ মানুষ।