ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ সরকারীভাবে রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলি সেই সব প্রকল্প রুপায়ণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদাই আদিবাসীদের সামাজিক উন্নতির দিকে লক্ষ্য রেখে চলেছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নানাভাবে আদিবাসীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। তারই এক আদর্শ উদাহরন দেখা গেল কাঁকসায়।
এখানকার কুলডিহার বাগানপাড়ায় মঙ্গলবার গোপালপুর,বিদবিহার ও মলানদিঘি এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার আদিবাসীদের নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি খোলামেলা আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আদিবাসী পরিবারগুলি তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও দাবিগুলি নিয়ে সরাসরি পুলিশ কর্তাদের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ কর্তারাও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কথা শোনেন। সভায় পুলিশকর্তারাও তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ সর্বদাই তাদের পাশে আছে। এই সভায় রেকর্ড সংখ্যক প্রায় ১৫ হাজার আদিবাসী মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
আলোচনার পাশাপাশি এদিন এখানে একটি ফুটবল খেলারও আয়োজন করেছিল পুলিশ। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্স দলকে পুরস্কারও তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে ২ হাজার কম্বল এবং ১ হাজার শিশুর হাতে পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও এদের মধ্যে খেলাধূলার প্রসারের লক্ষ্যে ১০০টি ফুটবলও প্রদান করা হয়।
দিনটি আরও উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠে যখন আদিবাসী পরিবারগুলির সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা, এসডিও, বিডিও সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা একই টেবিলে বসে খিচুরি খেয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন।পরে কাঁকসা পঞ্চায়েত ভবনে এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও আদিবাসিদের নানা সমস্যা নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আদিবাসীদের যে কোন সমস্যার বিষয়ে এখন থেকে তারা সরাসরি মহকুমা শাসক ও বিডিওকে জানাতে পারবেন। সেখানে জানালেই সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন আদাবাসী পরিবারগুলি। কারন অনেক সময়ে স্থানীয় স্তরে কোন অভিযোগ বা দাবি জানালেও তা ঠিক মতো কার্যকর হয় না। আবার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সামগ্রিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ন মিনা,মহকুমা শাসক শ্রীকান্ত পাল্লী,কাঁকসার বিডিও,ডিসি অভিষেক মোদি, কাঁকসা ও অন্ডাল থানার আধিকারিকসহ পুলিশ ও পঞ্চায়েতগুলির প্রশাসনিক কর্তারা।