ডেটলাইন বর্ধমানঃ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বর্ধমান শহরে রোড শো করলেন নাড্ডা। ‘আর নয় অন্যায়’ বোর্ড লাগানো গাড়ি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির রোড শোয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় দেখা যায়। গাড়ি থেকেই বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফুল ছুঁড়ে দেন নাড্ডা। গাড়িতে একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন নাড্ডা। তাঁর পাশেই দিলীপ ঘোষ সহ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা ছিলেন। ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমসিম অবস্থা হয় পুলিশের। ডায়মন্ডহারবারের ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এদিন বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে পুলিশ। নাড্ডার গাড়ির সামনে যাতে কেউ না আসতে পারে তার জন্য পুরো কনভয় ঘিরে রাখা হয়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাংলার মসনদ দখলের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন,এত দিন এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কারন, রাজ্য সরকারই ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে কৃষকদের নগদ আর্থিক সাহায্য দেয়। তাহলে কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কেন চিঠি লিখেছেন মমতা তা নিয়েই নাড্ডা বলেন,‘পশ্চিম বাংলার কথা বলতে গেলে দুঃখ হয়। গত দেড়-দু’বছর ধরে আমরা লাগাতার বলে আসছি, এই প্রকল্প চালু করুন। কিন্তু মমতা তাতে কর্ণপাত করেননি। এখন যখন পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তখন চিঠি লিখছেন।’ নাড্ডার অভিযোগ, ৭০ লক্ষ লোক এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়াও এই রাজ্য থেকে ২৩ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার আবেদনও করেছেন কিন্তু মমতা তাতে অনুমোদন দেননি বলে অভিযোগ নাড্ডার। তিনি বলেন, এই চিঠির গুরুত্ব কী আছে? আপনার আর চিঠি লেখার প্রয়োজন নেই। বিজেপি সরকার গঠন করেই কিষান সম্মান নিধি চালু করবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আরও অভিযোগ, মোদি সরকারের দেওয়া আয়ুষ্মান প্রকল্পে এই রাজ্যের ৪ কোটি ৬৭ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যবিমা নিতে দেননি মমতার সরকার। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আগমন ঘিরে এদিন সাজো সাজো রব ছিল কাটোয়ার মুস্থূলি গ্রামে। কারন এখানকার কৃষক মথুরা মন্ডলের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সহ শীর্ষ নেতারা। আগেই রঙ করা হয়েছিল মথুরাবাবুর বাড়ি। দেওয়া হয়েছিল আলপনা। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল গোটা বাড়ি। একই সঙ্গে কড়া নিরাপত্তায় একেবারে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। এদিনের মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে ছিল- ভাত, লেবু, শাক, বেগুন ভাজা, আলুভাজা, পাঁচমিশালি তরকারি সবজি দিয়ে ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস।