বাংলা ভাষা শিক্ষায় আজও প্রাসঙ্গিক বিদ্যাসাগর

0
3090

ডেটলাইন নিউজ ডেস্কঃ লেখক, সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আজ ১৯৫ তম জন্মদিন। তিনি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা ভগবতী দেবী। ঈশ্বরচন্দ্র ছিলেন একাধারে দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক ও ব্যাখ্যাকারী। বাংলা গদ্যকে সরল ও আধুনিক করার ক্ষেত্রে তার অবদান অতুলনীয়। সংস্কৃতি শিক্ষা এবং দর্শনে অসাধারণ অবদানের জন্য তাকে ক্যালকাটা সংস্কৃত কলেজ বিদ্যাসাগর উপাধিতে ভূষিত করে। দরিদ্র ও দুর্বলের জন্য তার মন সবসময় কাঁদত। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পরে তাকে দয়ার সাগর উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৮৫৬ সালে ভারতে বিধবা বিবাহ আইন পাসের পক্ষে তিনি জোরালো ভূমিকা পালন করেন। বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার। তিনি জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ ও সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তার প্রণিত বর্ণ পরিচয় প্রাথমিক স্তরের শিশুশিক্ষা গ্রন্থ। শিশুদের  বাংলা শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে এটিই প্রথম। ১৮৫৫ সালে  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এটি রচনা করেন। সেই সময় থেকে অদ্যাবধি শিশুপাঠ্য গ্রন্থ হিসেবে এটি উভয় বাংলায় সমান গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়ে যেখানে বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা শিক্ষার জন্য বহু বছর আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেই বাংলাতেই এখন সরকারী কাজে বাংলাভাষাকে সেভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায় না। আরও খারাপ লাগে যে নব্য প্রজন্মের বাঙালি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও প্রকৃত বাংলা ভাষার প্রতি জ্ঞান ও আগ্রহ দুটিই কম দেখে। ডেটলাইন বাংলার পক্ষ থেকে তারঁ জন্ম দিনে রইল আমাদের অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here