চায়ে পে নো ভোট-চর্চা, নোটিশে আবেদন দোকান মালিকে

0
570

ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ এবারের নির্বাচনে বিজেপির প্রচারে ‘চায়ে পে চর্চা’ এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা এই ভাবেই এবার নির্বাচনী প্রচারে বিশেষ মাত্রা এনেছেন। এমনিতেই ভোটের উত্তেজনা অনেকটাই টের পাওয়া যায় চায়ের দোকানের ঠেকগুলিতে। চায়ের দোকানের সেই সব তর্কে নির্বাচনের গতি প্রকৃতি অনেকটাই আঁচ করা যায়। তাই রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও চায়ের দোকানকে টার্গেট করার একটা স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে। রাজ্যের বিভিন্ন চায়ের দোকানে তাই দলের কর্মী থেকে নেতারা আড্ডা জমান। সবাই যে সেই ঠেকের আলোচনায় অংশ নেন তেমনটা নয়। কিন্তু শ্রোতারাও অনেকেই তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেই ভোট চর্চার আঁচ উপভোগ করেন। শাসক কিংবা বিরোধী দল প্রচারে বিভিন্ন সময় চায়ের দোকানে গিয়ে জনসংযোগ করে।এসব অবশ্য নতুন নয়। ভোটের মরশুমে এটা এক পরিচিত ছবি। কিন্তু অবাক হতে হয় যখন এরকমই এক চায়ের দোকানে দেখা যায় রাজনৈতিক চর্চা বন্ধের নোটিশ। হ্যাঁ,ভোট না মেটা পর্যন্ত চায়ের দোকানে বসে কোন রকম রাজনৈতিক আলোচনা না করার অনুরোধ করে একটি নোটিশ ঝোলানোর ঘটনা দেখা গেছে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল পুরাতন বাসস্ট্যাণ্ডে একটি চায়ের দোকানে। অনেকদিনের এই দোকান জেঠুর চায়ের দোকান নামেই এলাকায় পরিচিত। দুর্জয় মণ্ডল ও ভারতী মণ্ডল নামে বয়স্ক এক দম্পতি এই দোকান চালান। তাদের এক প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। এই দোকান থেকে আয়েই তাঁর চিকিংসা ও সংসার চলে। তাই ভোটের তর্কাতর্কি নিয়ে দোকানে কোন অশান্তি বা ঝামেলা হোক এবং তার জেরে দোকানে খদ্দের কমে যাক,এটা একদমই চান না মন্ডল দম্পতি। এলাকার মানুষ ও ব্লক চত্ত্বরের অফিস কর্মীরাই এই চায়ের দোকানের নিয়মিত খদ্দের বলে জানা গেছে। সকাল সন্ধ্যায় এলাকার বিভিন্ন মতাদর্শে মানুষ গরম চায়ে চুমুক দিতে ভীড় জমায়। চলে ভোট নিয়ে আলোচনা। সেই তর্ক কখনও উত্তপ্ত হয়ে উঠে।বন্ধু বান্ধবরাই তখন হয়ে যান প্রতিপক্ষ। এই ঘটনায় যেমন দোকানের পরিবেশ নষ্ট হয়, ঠিক তেমনই শান্তিও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মন্ডল দম্পতি তাদের দোকানের সামনে একটি নোটিশ লাগিয়ে আবেদন রেখেছেন – “ভোটের ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এই চায়ের দোকানে রাজনীতি বিষয়ক কোনো আলোচনা করা যাবে না”। দোকানের মালিক ভারতী মণ্ডল এবিষয়ে জানিয়েছেন, আমরা খুব কষ্ট করে এই দোকান চালাই। গরিবের সংসারে এই দোকানটাই আমাদের সম্বল। তাই আমরা চাই না রাজনৈতিক আলোচনা থেকে উত্তেজনা তৈরী হয়ে আমাদের ব্যবসায় কোন ক্ষতি হোক। প্রসঙ্গত,পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভোট হবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় ১৭ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here