১১ বছরে ৯ কোটি আর ৭ বছরেই ১৩ শো কোটি টাকা বরাদ্দ,দাবি মলয় ঘটকের

0
925

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ ২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল বামফ্রন্টের এই ১১ বছরে রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা খাতে খরচ করা হয়েছিল ৯ কোটি টাকা। আর ২০১১ সালে শাসন ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ৭ বছরেই এই খাতে ব্যয় করেছে ১৩ শো কোটি টাকা। রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার কতটা আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে তার প্রমান হিসেবে এই আর্থিক পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন শ্রম দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন দুর্গাপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এমএএমসি ইয়ং স্টার ক্লাবের মাঠে দুদিনব্যাপী দুর্গাপুর শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বাম আমলের সঙ্গে এই তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে আরও বলেন, বাম আমলে শ্রমিকরা বুঝতেই পারত না শ্রম দফতর বলে কিছু আছে। এই দফতরের কাজকর্ম সম্পর্কেও তারা কিছু জানত না। তৃণমূলের আমলে এই দফতরের উদ্যোগে রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু করে তাদের সরকারীভাবে একাধিক সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে এই বিষয়ে আরও বেশি করে জানতে পারে তার জন্যই মহকুমাগুলিতে শ্রমিক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এমাসের ১ তারিখ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের শ্রমিক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা শুরুর আগেই এই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ১ কোটি ১ লক্ষ ৭৮ হাজার শ্রমিক তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে। এছাড়া অন্যান্য মহকুমাগুলিতে যে মেলা চলছে সেই সব মেলাতেও ১ হাজার থেকে ৫ হাজার,১০ হাজার পর্যন্ত শ্রমিক তাদের নাম নথিভুক্ত করছেন। এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যেও অসংগঠিত শ্রমিকরা কোন কোন ক্ষেত্রে কি কি সরকারী সুযোগ সুবিধা পাবেন সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন। এখানে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া কয়েকজনকে পরিষেবাও প্রদান করা হয়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা চৌধূরী, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল,ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, মহকুমা শাসক শ্রীকান্ত পাল্লি প্রমূখ।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here