২১ শে জুলাই শুধু ধর্মতলা নয়,শক্তিগড়ের ল্যাংচাও

0
1214

ডেটলাইন পূর্ব বর্ধমানঃ প্রস্ততিপর্ব শেষে এবার গন্তব্য কলকাতার ধর্মতলা। উদ্দেশ্য ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবসের সভা। যেখানে প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই ১৯ শের লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই তাই মমতা কি বলেন তা নিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহলের প্রবল আগ্রহ। এতো গেল ২১ শের মূল সভার কথা। কিন্তু ২১ জুলাই নিয়ে যে প্রতি বছর চূড়ান্ত ব্যস্ততা থাকে বর্ধমানের ল্যাংচাগড়েও তার খবর রাখে কতজন? হ্যাঁ, প্রতি বছরই ২১ জুলাইকে সামনে রেখে সপ্তাহ দুই আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয় শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীদের মধ্যে। দুই বর্ধমানসহ দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এমনকি মুর্শিদাবাদ  ও মালদার তৃণমূল কর্মী সমর্থক বোঝাই বাসগুলি ২ নম্বর জাতীয় সড়কের শক্তিগড় হয়ে কলকাতা যায় ২১ জুলাই। যাওয়ার পথে ঘুঘনি, আলুরদম ও কচুরি দিয়ে টিফিন করলেও ধর্মতলা থেকে ফেরার পথে কমবেশি প্রত্যেকেই ল্যাংচা কেনে। কেনে সীতাভোগ ও মিহিদানাও। বিকালের পর থেকে জাতীয় সড়কের ধারে শুরু হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাস দাঁড়ানো। চলে বিকিকিনি। টিফিন করার পাশাপাশি বাড়ির জন্য প্যাকেট  ল্যাংচা, সীতাভোগ, মিহিদানা নিয়ে যাওয়া। শক্তিগড়ের ব্যবসায়ীরা জানান প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই তারা ২১ জুলাইয়ের জন্য প্রস্তুতি  শুরু করে দেয়। আটা, ময়দা, সুজি, ঘি, বেশন, তেল, চিনি বাজার থেকে তুলতে শুরু করে। মোটামুটি ২১ জুলাইয়ের সপ্তাহ খানেক আগে শুরু হয় ল্যাংচা ভাজা ও প্যাকেটজাত করার কাজ। নেওয়া হয় বাড়তি কারিগর ও কর্মী। তাই ২১ জুলাই মানে শুধু ধর্মতলা চলো নয়। একই সঙ্গে ২১ জুলাই মানে শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানে একবার থামা। গত এক দশক ধরেই এই দৃশ্যের সাক্ষী শক্তিগড়। সাক্ষী দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। এবারও সেই ছবির অপেক্ষায় শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here