প্রয়াত বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ

0
448

ডেটলাইন কলকাতাঃ চলে গেলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। টানা একমাস তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৫। গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। তবে সেবার করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেও তারপর থেকেই বয়সজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্ট ছাড়াও কিডনি এবং লিভারের সমস্যা ধরা পড়ে। গত ৩১ জুলাই তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক। বুদ্ধদেব গুহ’র জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতাতেই। পড়াশোনা করেছেন স্কটিশ চার্চ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। পেশায় ছিলেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করা ছাড়াও দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দপ্তরের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। সেই সঙ্গে আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ছিলেন প্রয়াত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ঋতু গুহ। তাঁদের দু্ই মেয়ে বর্তমান। তাঁর একের পর এক সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্য। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘জঙ্গল মহল’। ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’ একের পর এক উপন্যাস উপহার দিয়েছেন পাঠকদের। কিশোর সাহিত্যেও ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। তাঁর লেখায় ‘ঋজুদা’ বা ‘ঋভু’র মতো চরিত্র আকৃষ্ট করেছে শিশু কিশোরদের। বিশেষ করে প্রকৃতিকে তাঁর লেখায় অনবদ্যভাবে তিনি উপস্থাপন করেছেন। জঙ্গলের সঙ্গে সাহিত্য ও রোমান্টিকতার মিশ্রণে তাঁর সৃষ্টিগুলি বাংলাভাষার পাঠকরা দীর্ঘদিন মনে রাখবেন। সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাংলার সাহিত্য জগতের গণ্যমান্যরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here