ডেটলাইন নিউজ ডেস্কঃ পুণ্য মহালয়ার ভোরে যে সুর, যে সঙ্গীত, যে ভাষ্য না হলে আমাদের পুজোটাই শুরু হয় না সেই লহরীর নাম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী না শুনলে মহালয়া সম্পূর্ণ হয় না। বহু বছর ধরে এটাই অভ্যাস হয়ে উঠেছে বাঙালির। বাংলার সেরা উৎসব শারদীয়া এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র যেন একই মুদ্রার দুই পীঠ। আজ সেই মহান শিল্পীর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জন্মদিন। তিনি ৪ আগস্ট ১৯০৫ সালে আহিরীটোলা, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ১৯২৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও ১৯২৮ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক হন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। তিরিশের দশকে তিনি যােগ দেন কলকাতার বেতার কেন্দ্রে। সুদীর্ঘকাল অল ইন্ডিয়া রেডিওয় বেতার সম্প্রচারকের কাজ করেছেন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী সকল মানুষের মনে একটা জায়গা দখল করে আছে। একবারই এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছিল। সেটা ছিল ১৯৭৬ সাল। সে বছর আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণের পরিবর্তে বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তমকুমারকে দিয়ে মহালয়ার অন্য একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছিল। কিন্তু তা জনমানসে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। অবশেষে আকাশবাণী কর্তৃপক্ষকে সেই অনুষ্ঠানের পরিবর্তে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্ঠে মূল মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানটিই সম্প্রচার করতে হয়। অতএব সহজেই বোঝা যায় যে মহালয়া আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র কতটা একাত্ম হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে। ১৯৩১ সাল থেকে আজও কলকাতার আকাশবাণী থেকে দুর্গাপূজার সূচনায় মহালয়ার দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানটির রেকর্ড সম্প্রচারিত হয়ে আসছে যা বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।