ডেটলাইন বোলপুরঃ শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উপলক্ষ্যে এখানে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করলেন দু দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে এক উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন। এটি তৈরির জন্য অর্থ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অত্যাধুনিক দোতলা এই ভবনটিতে আছে একটি মিলনায়তন, জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার। বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, এই ভবনে রবীন্দ্রচর্চা এবং রবীন্দ্র গবেষণা ভিত্তিক এমন অনেক বই রয়েছে যা ভারতে সহজলভ্য নয়। এখানে রয়েছে প্রায় ৪০০০ বর্গফুট এলাকা নিয়ে একটি জাদুঘরও। এটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভবনের অন্যতম বিভাগ হল গ্রন্থাগার। এখানে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই। রয়েছে অনেকগুলি ইন্টার অ্যাকটিভ, টাচ স্ক্রিন কিয়স্ক। পাঠকদের জন্য বই ছাড়াও থাকছে ডিজিটাল বই পড়ারও সুযোগ। প্রত্নবিদ্যা ও ইতিহাসের গবেষণাকারীদের এই বিভাগটি বিশেষ কাজে লাগবে। ২৫০০ হাজার বছর পুরনো সভ্যতার নিদর্শন যেমন রয়েছে তেমনই ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের পোড়ামাটির কাজও। এই ভবনের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় তথ্য ও ছবি। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার রক্তাক্ত স্বাধীনতার লড়াই ও ভারতের অবদান নিয়ে বিশেষ গ্যালারির পাশাপাশি ১৯৫২-র ২১শে ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসও রয়েছে বাংলাদেশ ভবনে। সব কিছু মিলিয়ে গবেষকদের কাছে এই ভবন বিশেষ মূল্যবান হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।