ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে গুরু শিষ্যের পরম্পরা চলে আসছে। এক সময়ে ছিল টোলের প্রচলন। সেখানে গুরুগৃহে থেকেই শিক্ষা গ্রহন করতে হতো। যুগ বদলের সঙ্গে সেই টোলের অস্তিত্ব আর নেই,পরিবর্তে এসেছে স্কুল তথা শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করেন। তাদের কাছে শিক্ষা নিয়েই আমরা জীবনকে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রেই নয়,জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই গুরুকূল রয়েছেন যাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ ছাড়া আমরা জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারি না। তা সে খেলাধূলা, সঙ্গীতচর্চা, নৃত্য, অভিনয়, অঙ্কন অথবা অন্যান্য যেকোন ক্ষেত্রই হোক। ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হলেও আমাদের দেশে ১৯৬২ সাল থেকে ৫ সেপ্টেম্বরই পালিত হয়ে আসছে শিক্ষক দিবস।
দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন উপলক্ষেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। তিনি একদিকে যেমন এক আদর্শ শিক্ষক ছিলেন, তেমনই ছিলেন দার্শনিক। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞাও ছিল উল্লেখযোগ্য। দেশের যুবসমাজকে শিক্ষিত করে তুলতে তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে এনেছিলেন আমূল পরিবর্তন। সেকারনেই তাঁর জন্মদিনকেই এদেশে শিক্ষক দিবসের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষক দিবসে নিজেদের গুরুকে প্রমাণ জানাচ্ছেন শিষ্যরা। ভারতবর্ষ বহু যুগ ধরে গুরু–শিষ্যর ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। শিক্ষকরাই হচ্ছেন আমাদের গুরু। ভারতবর্ষ থেকেই গুরু শিষ্যের ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। শিক্ষক – শিক্ষার্থীর সম্পর্কও পঠন পাঠনেই সীমাবদ্ধ থাকে না । জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নির্ভর করে প্রকৃত শিক্ষা । শিক্ষকরা হলেন সমাজের কারিগর। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দিনটি যেমন উদযাপিত হচ্ছে তেমনই সোস্যাল মিডিয়াতেও নিজেদের গুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রনাম জানিয়েছেন সাধারন মানুষ থেকে সেলিব্রেটিরাও তাই শিক্ষকদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রতিটি শিক্ষককে ডেটলাইন বাংলা নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই শ্রদ্ধাবনত নমস্কার।














