ডেটলাইন কলকাতাঃ শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর লক্ষ্মীরতন শুক্ল। আর এবার রাজীব ব্যানার্জী। তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। এই নিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভা থেকে তিনজন মন্ত্রী সরে এলেন। এদের মধ্যে শুভেন্দু সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়ে এখন পুরোদমেই গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। তবে লক্ষ্মীরতন এখনও দল বদল করেননি। আর সদ্য মন্ত্রীত্ব ছাড়া রাজীবও এখনো বিজেপিতে যাওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল অনেক দিন ধরেই। গত শনিবার ফেসবুক লাইভে এসে পাকাপাকি ঘোষণা করবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কিছু ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মাত্র। মন্ত্রীসভার বিগত কয়েকটি মিটিংয়ে তিনি যাচ্ছিলেন না। এমনকি গতকালের বৈঠকেও তিনি হাজির হননি। তাই বোঝাই যাচ্ছিল তিনি এই মন্ত্রীসভায় আর থাকবেন না। অবশেষে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠির প্রতিলিপি রাজ্যপালকে পাঠিয়েই থেমে থাকেননি। এদিন তিনি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেছেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বেশ আবেগজড়িত ভাবেই বলেছেন,‘অনেক অপমান ও অসহযোগিতা সহ্য করেছি। আর পারছিলাম না বলেই পদত্যাগ করেছি’। শনিবারই রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঠিক তার আগের দিনই রাজীবের মন্ত্রীসভা ত্যাগের ঘটনায় অনেকেই মনে করছেন তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর সামনেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন? যদিও রাজীবের কথায় সেরকম কিছু মনে হয়নি। রাজীবের ইস্তফার খবর জেনে একদমই অবাক হননি তৃণমূলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন,‘এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলাম আমরা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাচ্ছিলেন না। দলে থেকেও কোনও কাজ করছিলেন না।’