ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর এবার তৃণমূলের বিধায়ক পদও ছেড়ে দিলেন। এদিন কাঁথির বাড়ি থেকে কলকাতায় এসে বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এদিনই দুর্গাপুরের সাগরভাঙায় গ্রাফাইট কারখানার সামনে আইএনটিটিইউসি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের ডাকা শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে এসে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আরও একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন পশ্চিম বর্মান জেলা তৃমমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক ও আসানসোলের পুর প্রশাসক জীতেন্দ্র তেওয়ারী। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,যিনি কলকাতাকে মিনি পাকিস্থান করার কথা বলেছিলেন তাঁর কথা তিনি শুনবেন না। এখানে তিনি শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি কেউ জনপ্রিয় নেতা থাকেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালও এদিন তাঁর বক্তব্যে কলকাতার নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাকে দলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অথচ পিছন থেকে গোঁজ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে তিনি দলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন,এভাবে দলকে যারা শেষ করে দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে দলের শীর্ষ নেতাদের। নাহলে দল থাকবে না। তাঁর বিস্ফোরক উক্তি, ‘আমরা প্রথম দিন থেকে দল করছি আর কিছু মীরজাফর দিদিকে ভুল বুঝিয়ে দিদির পিঠে ছুরি মারছে।’ বিশ্বনাথ পাড়িয়াল এবং জীতেন্দ্র তেওয়ারী দুজনেই বলেন, ‘প্রয়োজনে দলীয় পদ ত্যাগ করব। বিধায়ক পদও ছেড়ে দেব। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাবো। অন্যদিকে,শুভেন্দুর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার প্রসঙ্গে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দলের আর এক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সব ভোগ করার পর এখন ছেড়ে যাচ্ছে। দুষ্টু গোরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো।