ডেট লাইন দুর্গাপুর: একেই বলে ঘর শত্রু বিভীষণ। যে বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে মালির কাজ করেছে সেই বাড়িতেই ডাকাতি করে জেমুয়ার বাসিন্দা ইমরান খান। আর এই ডাকাতির কাজে তাকে সাহায্য করে ছিল তার দুই বন্ধু শেখ আবিদ ও শেখ সুকুল। গত ২৭ জুন দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে সিটি সেন্টারের অম্বুজা উপনগরীর বাসিন্দা দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালের অবসর প্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ শরৎ চন্দ্র কর্মকারের বাড়ীতে। বাধা দিতে গিয়ে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যখম হন শরৎ বাবুর স্ত্রী। জানা যায়, নগদ ৩৫ হাজার টাকা সহ কয়েক ভরি সোনার গহনা এবং দুটি মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা। ঘটনার পরেই তদন্তে নামে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। করোনা আবহে পুলিশ যেখানে সর্বদা সক্রিয় সেখানে দিন দুপুরে এই ধরনের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় শহরে। তাই পুলিশের কাছেও এই দুষ্কৃতীদের ধরাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল। অবশেষে ঘটনার দশ দিনের মধ্যেই ডাকাতদের ধরতে সফল হলো পুলিশ। এদিন দুর্গাপুর থানায় এক সাংবাদিক বৈঠকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডি সি,পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, এই ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাড়ির মালি ইমরান খান সহ তার দুই শাকরেদ শেখ আবিদ ও শেখ শুকুল কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বাড়ি নিউ টাউনশিপ থানার জেমুয়া তে। তিনি জানান, এই তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশেষ কাজে লেগেছে। এদের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা,সোনার কিছু গহনা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এরা যে বাইক টি ব্যবহার করে ছিল সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাকাতির বাকি টাকা ও গহনা উদ্ধার করা হবে বলেও জানান তিনি।