ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’। হ্যাঁ,আজকের শিশুরাই আগামী দিনে কেউ কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী,রাজনীতিবিদ সহ অনেক কিছুই হতে পারে। আজকের দিনে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের জাতির পথ প্রদর্শক। তারা বড় হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখবে। তাই প্রায় সব দেশেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয় শিশু দিবস। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন ১৪ নভেম্বর। নেহেরুর প্রতি শ্রদ্ধা এবং এবং শিশুদের প্রতি তাঁর ভালবাসার জন্য তাঁর জন্মদিনেই ভারতে শিশুদিবস পালন করা হয়। তবে শিশুদের প্রতি সম্মান ও তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের আশা নিয়ে বিশ্বের সব দেশেই শিশু দিবস পালিত হলেও সব দেশে একই দিনে তা পালিত হয় না। প্রতি বছর ২০ নভেম্বর পালিত হয় বিশ্ব শিশু দিবস। আবার আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালন করা হয় ১ জুন। শিশুদের শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা গুলোকে জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবছর শিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিনে প্রতিবছর দেশজুড়ে সাড়ম্বরে শিশু দিবস পালিত হলেও আগে শিশু দিবস পালিত হত ২০ নভেম্বর। কারন,১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জওহরলাল নেহরু। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা সর্বজনবিদিত। তাই ১৯৬৪ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে ভারতে ১৪ নভেম্বর পালিত হবে শিশু দিবস। যদিও তার বছরদশেক আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে ২০ নভেম্বর পালিত হয় শিশু দিবস।
১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রসংঘ এই ঘোষণা করেছিল। সেই ঘোষনায় বলা হয়েছিল বিশ্বজুড়ে শিশুদের কল্যাণে প্রতি বছর পালন করা হবে শিশু দিবস। সেই ঘোষণা মত বছরকয়েক ধরে ভারতেও ২০ নভেম্বর পালিত হয় শিশু দিবস। পরে তা পরিবর্তিত হয়ে নেহরুর জন্মদিনে পালন করা শুরু হয়। আমাদের মনে রাখা দরকার,শিশুরা সমাজের সকল মানুষের স্নেহের পাত্র। শিশুদেরকে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ বিকাশে সাবলীল করে তুলতে হবে।পাশাপাশি কোন শিশু যাতে তাদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। শিশু দিবস উপলক্ষে আজ পথে নেমে ছিল দুর্গাপুরের অন্যতম সমাজসেবী সংস্থা শুভকামনা ফাউন্ডেশন চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সদস্যরা।এদিন দুর্গাপুর মহানন্দা পল্লি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেশ কিছু শিশুর হাতে তারা তুলে দিলেন কেক ও খেলনা উপহার। শিশু কিশোরদের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাদেরও শুভেচ্ছা জানান শুভকামনার সদস্যরা।