ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ গুজরাটে নর্মদার তীরে উন্মোচিত হল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই ১৮২ মিটার তথা ৬০০ ফুট লম্বা সুবিশাল মূর্তিটির উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপত্য (১২৮ মিটার) হিসেবে চিনের বিখ্যাত বুদ্ধ মন্দিরকেই সবাই মানত। বল্লভভাইয়ের এই মূর্তির উচ্চতা তার থেকেও অনেক বেশি। আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির থেকে প্রায় দ্বিগুণ উঁচু এই মূর্তি। জানা গেছে,সাধারণ উচ্চতার একজন মানুষের থেকে এই মূর্তি অন্তত ১০০ গুণ বেশি উঁচু। প্যারিসের দু’টি আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার থেকেও এই মূর্তির উচ্চতা অনেকটাই বেশি। মূর্তি গড়তে খরচ হয়েছে ২,৯৮৯ কোটি টাকা। নমর্দা বাঁধ থেকে এই মূর্তির দূরত্ব প্রায় সোওয়া তিন কিলোমিটার। সেখানে সাধুবেট নামে একটি দ্বীপে এই সুবিশাল মূর্তিটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। নদীর থেকে দ্বীপে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আড়াইশো মিটার লম্বা একটি সেতুও। মূর্তিটি নির্মাণ করতে দেশের ৭০ হাজার গ্রামের বাসিন্দার কাছ থেকে কৃষিতে ব্যবহৃত লোহার দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়েছিল যা থেকে ১৩৫ টন লোহা গলিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশাল স্থাপত্য। এই প্রকল্পে একটি তিনতারা হোটেল, অডিটোরিয়াম, প্রদর্শনশালা এবং সর্দার বল্লভভাইয়ের জীবন ও কাজ তুলে ধরতে সংগ্রহশালাও নির্মাণ করা হয়েছে। মূর্তির চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত করেছেন বিখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার। জানা গেছে, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে মাথায় রেখেই এটি স্থাপন করা হয়েছে। ১৮০ কিলোমিটার বেগের ঝড় ও রিখটার স্কেলে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পেও এই স্থাপত্যের কোনও ক্ষতি হবে না। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের আজ ১৪৩ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এদিন দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় একই সময় ‘রান ফর ইউনিটি’ নামে দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল,যেখানে অংশ নেন হাজার হাজার তরুন ও যুবকরা।