বাঙালির গর্ব রামমোহন রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ্য

0
942

ডেটলাইন নিউজ ডেস্কঃ বাঙালি জাতির গর্ব হিসাবে যে সব ব্যাক্তিত্ব আমাদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন বা থাকবে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাজা রামমোহন রায়। বাংলার নবজাগরণে তাঁর ভূমিকা অনন্য। সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাই রামমোহন রায়ের অবদানকে বাঙালি জাতি কখনই ভুলতে পারে না। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁর প্রয়াণ দিবস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানে তাকে স্মরণ করা হয়। রামমোহন রায় ১৭৭২ সালে ২২ মে হুগলী জেলার শ্রীরাম পুরে রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রামকান্ত রায় ছিলেন বৈষ্ণবী এবং মা তারিণী দেবী ছিলেন শাক্ত। ছোটবেলায় তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং কাশি, পাটনা, বারানসি সহ নানা জায়গায় ভ্রমন করেন। তিনি আরবি, পারসি,গ্রিক, হিব্রু, ইংরেজি সহ বেশ কিছু ভাষা শিখেছিলেন। যুব বয়সে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীও ছিলেন। সেই সময় থেকেই তিনি কলকাতায় বসবাস শুরু করেন এবং নানা ভাবে পিছিয়ে থাকা বাংলার মানুষকে সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলার কাজে ব্রতী হন। সেই সময় বাংলায় সতীদাহ প্রথা নামে এক চরম কুসংস্কার চালু ছিল যা  রামমোহন রায়কে ভীষণভাবেই ধাক্কা দিয়েছিল। তিনি এর প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। তাঁর চেষ্টাতেই শেষ পর্যন্ত এই কুপ্রথা বন্ধ হয়। তিনি ব্রাহ্মসমাজ গঠন করে সেই সময়ের বাঙালিকে নানা ভাবে আধুনিক করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। রামমোহন একাধিক বার বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার উন্নত সামাজিক ব্যবস্থা দেখে তা বাংলার মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সেই চেষ্টায় বাংলায় নবজাগরণের সূচনা হয়েছিল। তাঁর মতো সমাজ সংস্কারক বাংলায় খুবই কম দেখা গেছে। তাই তাঁর প্রয়াণ দিবসে ডেট লাইন বাংলার পক্ষ থেকেও রইল আমাদের অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here