ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ এবার নিজস্ব ভবন পেতে চলেছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালত। বহু বছর ধরে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন ভবনের ভাড়াবাড়িতেই চলছে আদালতের কাজকর্ম। দিনদিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গেই বেড়েছে মামলার সংখ্যা। কিন্তু অল্প পরিসর জায়গায় আদালত চালাতে রীতিমতো সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই নতুন ভবনের প্রয়োজন হয়ে ওঠে। অবশেষে সেই লক্ষ্যে আজ এক ধাপ এগিয়ে গেল দুর্গাপুর। এদিন সিটি সেন্টারে ৬ বিঘা জমির উপর প্রস্তাবিত নতুন আদালত ভবনের শিলান্যাস করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য্য। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তথা বর্ধমানের জোনাল বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জী , অতিরিক্ত জোনাল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য,রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক,পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক শশাঙ্ক শেঠী,পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ন মিনা,এডিডিএর সিইও এস অরুন প্রসাদ , দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শ্রীকান্ত পাল্লি প্রমূখ। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি জানান রাজ্যে বেশির ভাগ আদালতই ভাড়াবাড়িতে চলছে। সমস্যা অনেক রয়েছে তবে সেগুলি নিয়েই বিচার ব্যবস্থা চলছে। এই মূহুর্তে ২২ লক্ষ মামলা জমে আছে। একজন বিচারপতি তিনজন বিচারপতির কাজ করছেন।তিনি বলেন,আইনী ব্যবস্থা আরও মজবুত হওয়া দরকার। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কিছুটা হতাশার সুরেই বলেন, গণতন্ত্রের অন্যতম এই স্তম্ভ বাকি অন্য দুই স্তম্ভের কাছে অনেকটাই অবহেলিত। বাজেটে বিচার ব্যবস্থার জন্য কম বরাদ্দ থাকে। পাশাপাশি তিনি বর্তমান সরকারের সহযোগিতার প্রসঙ্গে বলেন এই আমলে বেশ কিছু কাজ শুরু হয়েছে। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান,দুর্গাপুরের নতুন আদালত ভবনটি রাজ্যে একটি মডেল কোর্ট হিসেবে গড়ে উঠবে। এটি ৬ তলার ভবনের প্ল্যান আছে। তবে আপাতত ৪ তলা ভবন হবে। এর জন্য ব্যয় হবে ২৭ কোটি টাকা। এই আদালত একদমই অত্যাধুনিক হবে। বছরে দুই লাগবে ভবন নির্মাণে। তারপর হাইকোটের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করে জানাবেন কবে নাগাদ নতুন আদালত ভবনে কাজ শুরু হবে।