ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ জলবায়ু, পরিবেশ এবং মানুষ একে অপরের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত। প্রত্যেকটি জীব প্রজাতির মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত নিবিড় পারস্পরিক সম্পর্ক। মানুষ তার দৈনিন্দন জীবনের প্রায় সব কিছুই পায় পরিবেশ থেকে। আবার এই মানুষই নিজেদের প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে সব থেকে বেশি ক্ষতি করে পরিবেশের। মানুষ যতই আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হচ্ছে, পরিবেশের উপরে ততই চাপ পড়ছে। ক্ষতি পরিবেশের ভারসাম্যের। তাই নানা ভাবে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছি। পরিবেশকে রক্ষা না করলে মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবে না। এই লক্ষ্যেই প্রতি বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। ভারতবর্ষ সহ বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে নানাভাবে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। এবারে করোনা মহামারিতে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০ এর মূল ভাবনা হচ্ছে ‘জীববৈচিত্র্য’। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির এ বছরের স্লোগান হচ্ছে ‘ইটস টাইম ফোর নেচার (সময় এখন প্রকৃতির)’। জীববৈচিত্র্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে আমরা মানবজাতি বুঝে বা না বুঝে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছি সব থেকে বেশি। বিশ্বব্যাপী মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় সংকটের বিষয়কে সামনে রেখে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবস পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কাছে তো বটেই সাধারন মানুষের মধ্যে এক নতুন চেতনা ও ভাবনার সঞ্চার করেছে। রাজ্যের নানা স্থানের সঙ্গে দুর্গাপুরেও একাধিক কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়।
এগুলির অন্যতম হল দুর্গাপুর ৪ নং বরো কমিটির উদ্যোগে এবং স্বপ্নউড়ান- এর সহযোগিতায় ৪৩ নং ওয়ার্ডএর শ্যামপুর মোড় সংলগ্ন সুকান্তপল্লী এলাকায় গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন মহানাগরিক দিলীপকু অগস্তি, মেয়র পারিষদ অঙ্কিতা চৌধুরী, ৪নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি প্রমূখ। উল্লেখ্য, এদিনই ছট পুজোর সময় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি আধুনিক শৌচালয়েরও উদ্বোধন করা হয়। দুর্গাপুরের অন্যান্য এলাকাতেও দিনটি পালিত হয়।