ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং কর্তব্য এমন একটা জিনিস যা কোনভাবেই কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই অবজ্ঞা করা যায় না। এমন কিছু পেশা থাকে যেখানে সব প্রতিকূলতাকে সরিয়ে রেখেই কাজ করতে হয়। এমনই একটা বিভাগ হল পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল। পথ নিরাপত্তা দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় থাকতে হয়। রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, লক্ষ্য একটাই যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে এবং মানুষ যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু কাজের সেই শর্তের বাইরেও যে এরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে থাকে তারই এক জ্বলন্ত প্রমান মুচিপাড়া ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত কনস্টেবল তিগুন দাস। তিনি যে পোষ্টেই ডিউটি করুক না কেন ট্রাফিক সামলানোর পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক মানুষের সুবিধা অসুবিধার দিকে বিশেষ নজর রাখেন।মুচিপাড়া ট্রাফিক গার্ডের অন্তগত মুচিপাড়া থেকে দুর্গাপুরের ব্যারেজ যাওয়ার পথে রয়েছে এক বিপদজনক মোড় শ্যামপুর মোড়, যে মোড়ের উপর দিয়ে নিত্যদিন বহু মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত করে। বিপদ জনক হলেও ভয় কিসের সে মোড়ে তো ডিউটিতে রয়েছেন কনস্টেবল তিগুন দাস। তার ডিউটির প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্ব মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ট্রাফিক সামলানোর পাশাপাশি বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের হাত ধরে রাস্তা পারাপার করতে সাহায্য করা, সুষ্ট ভাবে যান চলাচল করার ব্যাবস্থা বাইরেও আশপাশে কোনো দুর্ঘটনার খবর পেলেও তৎক্ষণাৎ সেই স্থানে পৌঁছে সু ব্যাবস্থা গ্রহন করা তার নিত্য দিনের কাজ।আজ শ্যামপুর আবাসন পল্লী তে ২০২০ বার্ষিক উৎসবে এলাকার বাসিন্দারা মুচিপাড়া ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল তিগুণ দাস কে তার কাজের জন্য সম্বর্ধনা জানান। এই অনুষ্ঠানে একজন পরিচালন কর্মী জানান তার বাচ্চাটি যখন স্কুলে যায় আমি বলি সাবধানে রাস্তা পারাপার করবি,কিন্তু তার ছেলে জানায় ভয় নাই পুলিশ কাকু আছে আমাকে হাত ধরে রাস্তা পাড় করে দেবে। অপর আরেক সদস্য রাজেশ পালীত জানান তিগুন বাবুর কাজে মুগ্ধ গোটা এলাকাবাসি।