ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ দিন চারেক আগেই নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময় পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন। তার জন্য ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালেও। কিন্তু দুদিনের মাথায় চিকিৎসকদের কাছে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু বাড়ি এলে কি হবে। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গজুড়ে ভোটের মরশুম চলছে। এই সময় কি তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেন? তাই দেখা গেল এদিন দুপুরের দিকে সেই চোট থাকা পায়েই নেমে পড়লেন নির্বাচনী ময়দানে। হুইল চেয়ারে চেপে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে ছিলেন তিনি। তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে নীল–সাদা রঙের বিশেষ হুইল চেয়ার। পায়ের বিশেষ জুতো। গাড়ি থেকে নেমে সেই হুইল চেয়ারে বসেই পৌঁছান গান্ধী মূর্তির উদ্দেশে। সেখানে তিনি সূচনা করেন মিছিলের। এরপর দক্ষিণবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে আসেন দুর্গাপুরে। এদিন বিকেলে চারটের একটু পরেই তাঁর হেলিকপ্টার দুর্গাপুরে এসে পৌঁছায়। তিনি গান্ধী মোড় ময়দান হেলিপ্যাড থেকে সিটি সেন্টারের সিটি রেসিডেন্সি হোটেল হুইল চেয়ারে করে প্রায় ৩০০ মিটার যান। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে রাস্তার দু’ধারে যথারীতি দলের কর্মী সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানান। দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার ও দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়াল সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে নিয়ে হুইল চেয়ারে করে এগিয়ে যান মমতা। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে দু’রাত থাকবেন। এখান থেকেই বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে যাবেন। এখানে থাকাকালিন দুর্গাপুরের দলীয় নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।