মানবতার এক অসাধারণ নিদর্শন দেখালেন দুর্গাপুরের সাধারণ পরিবারের দুই মা

0
586

ডেটলাইন দুর্গাপুর: দু্র্গাপুরের বেসরকারী মিশন হাসপাতালে কিছুদিন আগেই এক সদ্যোজাত শিশুর জন্ম হয় নির্দিষ্ট সময়ের আগে। এর কারনে বাচ্চাটির মায়ের বুকের দুধ না থাকায় বাচ্চাটি ও তার পরিবার সমস্যায় পড়ে যায়। হাসপাতালে এর জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন,বাচ্চাকে মাতৃদুধ পান করাতে না পারলে বাচ্চাকে বাঁচানো যাবে না। এই অবস্থায় শিশুটির বাবা কুলটির বাসিন্দা জয়ন্ত শর্মা ও মা জ্যোতি শর্মা এবং তাদের পরিবার হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিল একজন সদ্য মা হয়েছে এমন মহিলাকে, যিনি হাসপাতালে গিয়ে ঐ শিশুটিকে দুধ খাওয়াতে পারবে। কিন্তু কোথাও এরকম কোনো মহিলার খোঁজ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তারা দুর্গাপুর মহকুমা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন জানায়। ফোরামের পক্ষে চারিদিকে খোঁজ শুরু করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সংগঠনের সহ সভাপতি রঞ্জন ব্যানার্জির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুর্গাপুর করঙ্গপাড়ার ষষ্ঠীতলা ও বাউড়ি পাড়ায় বসবাসকারী সদ্য মা হওয়া দুই মহিলার খোঁজ পাওয়া যায়। তারা ফোরামের আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই বাচ্ছাটিকে মাতৃদুধ খাওয়াতে রাজি হয়। এরা হলেন করঙ্গপাড়ার ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা সদ্য মা হওয়া ২২ বছরের প্রতিমা থান্ডার এবং বাউড়ি পাড়ার বাসিন্দা প্রিয়া বাউড়ি। তারা ফোরামের আবেদনে সাড়া দিয়ে পালা করে এখন হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে মাতৃদুধ খাইয়ে আসছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এর ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি কবি ঘোষ বলেন, গরীব কিন্তু কত বড় মনের অধিকারী এই দুই মহিলা। সত্যি তারা বিরল মনের মা। ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম এই দুই মহীয়সী মা’কে স্যালুট জানাচ্ছে। শিশুটির মা জ্যোতি শর্মা ও বাবা জয়ন্ত শর্মা এবং তাদের পরিবারও এই দুই মাকে তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেছেন,সমাজে এখনো এমন উদার মানসিকতার মানুষ আছে। এই দুই মহিলা খুবই সাধারণ পরিবারের। তাদের আর্থিক পরিস্থিতিও খুব ভালো না। কিন্তু তাতে কি? আসল কথা হল তাদের এই উদার মানসিকতার পরিচয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here