ডেটলাইন ওয়েব ডেস্কঃ আজকের দিনে অর্থাৎ ১২ মে,১৮২০ সালে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেই প্রতিবছর এইদিনে বিশ্বজুড়ে পালিত আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। ১৮৫৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন, এই যুদ্ধে তিনি অসুস্থ সৈন্যদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এই যুদ্ধটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটেন, তুরস্ক, ফ্রান্স এবং সার্ডিনিয়া-এর জোটের মধ্যে হয়েছিল। এই যুদ্ধের সময় বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল কেবল তাদের যত্নই নেননি, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এক বিশাল পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি ছিলেন আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, একজন লেখক এবং পরিসংখ্যানবিদ। তিনি দ্যা লেডি ইউথ দ্যা ল্যাম্প নামে পরিচিত ছিলেন। বাবা উইলিয়াম এডওয়ার্ড নাইটিঙ্গেল এবং মা ফ্রান্সিস নাইটিঙ্গেলের অভিজাত পরিবারে ১৮২০ সালের ১২ মে জন্মগ্রহণ করেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। তার জীবদ্দশায় তিনি ১৮৫৩ সাল থেকে ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত লন্ডনের ‘কেয়ার অব সিক জেন্টলওমেন ইনিস্টিটিউটের’ তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করে গেছেন। ১৮৫৫ সালে তিনি নার্স প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজ শুরু করেন। নিরলস প্রচেষ্টায় ১৮৫৯ সালে তিনি নাইটিঙ্গেল ফান্ডের জন্য সংগ্রহ করেন প্রায় ৪৫ হাজার পাউন্ড। পরবর্তী সময়ে তিনি ভারতবর্ষের গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর গবেষণা চালান। যা ভারতবর্ষে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদান রাখে। ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নেও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৮৫৯ সালে তিনি ‘রয়্যাল স্ট্যাটিসটিক্যাল সোসাইটির’ প্রথম সারির সদস্য নির্বাচিত হন। লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে নার্সিংকে সম্পূর্ণ পেশারূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ১৮৬০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল’ যার বর্তমান নাম ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং। আধুনিক নার্সিংয়ের জননী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের আজ জন্মদিন। তাই এই দিনটি পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হিসেবে। গোটা বিশ্বেএই দিনটি বিশেষ ভাবে এবার পালন করা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের কারনে। এই মহামারীর বিরুদ্ধে যেসব নার্স নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সেবা করে চলেছেন তাদের সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকেও জানাই হাজারো প্রনাম ও শ্রদ্ধা।