ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যে পরে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা গ্রামের অনেক পরিবারের অবস্থা বাস্তবিকই খুব সঙ্গিন। সেই সব মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েটস অফ ইন্ডিয়ার দুর্গাপুরে থাকা বেশ কয়েকজন সদস্য। এই সংগঠনের সদস্য তথা কয়েকজন বন্ধু মিলে ঠিক করে যে, দমবন্ধ এই অবস্থার মধ্যে আটকে পড়া মানুষগুলোকে যতটুকু পারা যায় সাহায্য করতে হবে। এরপরই তারা কাজে নেমে পরেন। এরা হলেন সৌরভ, শুভেন্দু, দুলাল, নন্দিনী, পিয়ালী, মন্দিরা, ডাঃ সুব্রত বাবু, অনিতা, সোমনাথ, পার্থ, অসিত, দীপক, দেবারতি, কাকলী,জাফরদা, সূর্য্য,অভিজিৎ, পাপ্পু, জয়ন্ত, অনুপ সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী। সবাই মিলে ঠিক করে একদম প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের কাছেই তারা যাবে। সেই মতো কাঁকসার জঙ্গলমহলের ভিতরে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রামের কথা উঠে আসে। সেইমতো তারা পৌঁছে যায় জঙ্গলমহলের ভিতরে গ্যেঁড়াদু গ্রামে। প্রায় ৮০ টি পরিবারকে দেওয়ার মতো চাল, চিঁড়ে, গুড়, লবন, আলু, সোয়াবিন বড়ি, সাবান, ডিটারজেন্ট, চকোলেট নিয়ে গিয়েছিল তারা। সেখানে গিয়ে এই সংস্থার সদস্যরা অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা লাভ করে। সেটা কেমন? তারা যা বললেন তা এই রকমঃ প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক মানুষ সব। নির্ভরশীল কায়িক শ্রম আর জঙ্গলের কাঠ, শালপাতা বা জঙ্গল থেকে পাওয়া জিনিসের উপর। তবুও ওদের মধ্যে দেখা গেল অদ্ভুত সারল্যের অনাবিল হাসি। ওদের দৈন্যের হাহাকার নেই, চাহিদার প্রাচুর্য নেই, জীবনধারনের নুন্যতম রসদটুকু পেলেই তারা খুশি। আর দেখা গেল অদ্ভুত শৃঙ্খলা। ঠিক নিয়ম মেনে, প্রয়োজনীয় দুরত্ব মেনে তারা সংগ্রহ করলো ভালবাসার উপহার। ক্লেদাক্ত শহরজীবনে,কাদা ছোঁড়াছুড়ির খেলা দেখতে অভ্যস্ত শহুরে চোখ জুড়িয়ে গেলো সবুজ প্রকৃতির বুকে শালগাছের মতো ঋজু মানুষ গুলোকে দেখে।সৌরভ, শুভেন্দু, দুলাল, নন্দিনী, পিয়ালী, মন্দিরা-রা জানান, আমরা গিয়েছিলাম ওদের জন্য সাহায্য নিয়ে, ফিরলাম একরাশ অভিজ্ঞতার ঋণ নিয়ে।
Home আসানসোল-দুর্গাপুর প্রত্যন্ত গ্রামের গরীবদের পাশে হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েটস অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা