ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ বন্ধু সুনীল বনশলের মা শান্তিদেবীর(৭৮) প্রয়াণের খবর পেয়ে আজ দুর্গাপুরের বেনাচিতির গুরুদ্বারের কাছে বিবেকানন্দ পল্লিতে সুনীল বনশলের বাড়িতে ছুটে এলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। আসলে সুনীল বনশল হলেন উত্তর প্রদেশের এক জনপ্রিয় বিজেপি নেতা। পদাধিকার বলে তিনি উত্তর প্রদেশ বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক। বেনাচিতির গুরুদ্বারের কাছেই বিবেকানন্দ পল্লিতে সুনীলবাবুর মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকেন। এক সময় তিনিও এখানে ছিলেন। সেখানেই গত শনিবার সুনীলবাবুর মা শান্তিদেবী মারা যান। সুনীলবাবুর দাদা অশোক বনশল জানান, তাঁর মা কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। শনিবার বিকেলে গান্ধী মোড়ের কাছে হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালে বার্ধক্য জনিত রোগের কারণে মারা যান। রবিবার শান্তিদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে। এই ঘটনা জানার পর রবিবারই উত্তর প্রদেশের এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী ও বিধায়ক ও সাংসদ সুনীলবাবুর মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুর্গাপুরে আসেন।
আজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহাও এসেছেন। সুনীলবাবুর বন্ধু হিসেবে তাঁর মায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বেনাচিতি আসতেই এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায়। একদিকে উত্তর প্রদেশের একঝাঁক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী,বিধায়ক ও সাংসদ সহ উত্তর প্রদেশ বিজেপির প্রায় চল্লিশ জন প্রতিনিধি আর সেই সঙ্গে রাজ্যপালের আগমনে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ও মিডিয়া মহলেও চরম ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু সুনীল বনশল। তার মাতৃ বিয়োগে পরিবারকে সান্তনা দিতেই দুর্গাপুরে এসেছি। মিডিয়ার তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন,ব্যক্তিগত কাজে এসেছি। তাই রাজনৈতিক কোনো প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চান না। একটি সূত্রে জানা গেছে,শোকস্তব্ধ বনশল পরিবারকে সমবেদনা জানাতে শিঘ্রই বিজেপির আরও কিছু শীর্ষ নেতা এখানে আসতে পারেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী প্রমূখ।