আবারও নক্ষত্র পতন,প্রয়াত অরুণ জেটলি

0
856

ডেটলাইন দিল্লিঃ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা  স্বরাজের মৃত্যুর  পর, আরও এক নক্ষত্র পতন  ঘটল ভারতীয় রাজনীতিতে। প্রয়াত হলেন প্রাক্তন  অর্থমন্ত্রী অরুণজেটলি। তিনি ছিলেন মোদি সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী।গত ৯ আগস্ট সকালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারনে  দিল্লির এইমসে ভরতি করা হয় অরুণ  জেটলিকে। প্রথমে কার্ডিওলজি বিভাগে ভরতি  করা হয়।পরে তাঁকেভেন্টিলেশনে  স্থানান্তরিত  করা হয়। একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিল। এদিনসকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরেই দুপুর ১২টা ৭মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন ৬৮ বছর বয়সি জেটলি। ২০১৮ সাল থেকে তিনি কিডনির  সমস্যায় ভুগছিলেন। ডায়ালিসিস শুরু হয়  ও কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়। তারপর ধরা পড়ে ক্যানসার। সেই মারণ রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি আমেরিকাতে ও গিয়েছিলেন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতীয় রাজনৈতিক মহল। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি,বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ সকলেই। 

অরুণ জেটলির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। বাবা মহারাজ কিষেন জেটলি, মা রতনপ্রভা জেটলি। বাবা ছিলেন আইনজীবী। পড়াশোনা দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। বাণিজ্যে স্নাতক হন দিল্লিরই শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের স্নাতক হন ১৯৭৭ সালে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্বে আসেন। ছাত্র সংসদের সভাপতি হন ১৯৭৪ সালে। জরুরি অবস্থার সময় ১৯ মাসের জন্য কারাবাসও হয় তাঁর। জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং রাজনারায়ণের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি জনসঙ্ঘে যোগ দেন। ৭৭ সালে লোকতান্ত্রিক যুবমোর্চার আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।  এরপর এবিভিপি–‌র সর্বভারতীয় সম্পাদকও হন তিনি।বিজেপিতে যোগ দেন ১৯৮০ সালে। সেবারই দলের যুবমোর্চার সভাপতি হন তিনি। ১৯৮৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে থাকেন। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হন জেটলি। পরের বছরই তাঁকে আইন, ন্যায় এবং কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০০ সালে রাম জেঠমালানি আইনমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর অরুণ জেটলি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। ২০০৯–‌এ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর আইন ব্যবসা থেকে সরে আসেন।  ২০১৪ সালের ২৬ মে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে জেটলি হন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। উল্লেখ্য, তাঁর অর্থমন্ত্রিত্বের সময়ই ২০১৬ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here