ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ প্রায় সাত বছর ধরে নিজেদের প্রাপ্য চাকরীর দাবি জানিয়ে আসছেন দুর্গাপুরের ডিপিএল কারখানার কর্মরত মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। প্রথম দিকে পোষ্যদের অনেকেরই চাকরী হয়েছে। বলা হয়েছিল বাকিদেরও ধাপে ধাপে চাকরী দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে প্রায় দেড়শো জন পোষ্যের আর চাকরী হয়নি। বিগত সময় চাকরীর এই দাবি নিয়ে তারা ধারাবাহিক আন্দোলন করেছেন। তাদের বিক্ষোভ মঞ্চে নেতা বিধায়ক মন্ত্রী অনেকেই এসেছেন। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়ে গেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এবার তারা প্রায় দেড় মাস ধরে অনশন বিক্ষোভ চালানোর পর এবার লোকসভা নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের জবাবে তারা জানান,নির্বাচনের আগে তাদের আগেও একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেই আর তাদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাই তারা এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের নিজেদের বাড়ির দেওয়ালেও ভোট বয়কটের কথা তারা লিখে রেখেছে। আর তাতেই নড়েচড়ে উঠেছে প্রশাসন। এদিন আন্দোলনকারীদের নিজের দফতরে ডেকে পাঠিয়ে ভোট বয়কটের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মহকুমা শাসক শ্রীকান্ত পাল্লি। মহকুমা শাসক তাদের জানিয়েছেন,নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় এখন কিছু করা যাবে না। তবে ভোটের পর নিশ্চয় বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে। তাই তিনি তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেন। যদিও পোষ্যদের প্রতিনিধি রাজীব পাল মহকুমা শাসকের দফতর থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান,যেহেতু ডিপিএল রাজ্য সরকারের। তাই রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বা বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যদি তাদের এবিষয়ে কোন আশ্বাস দেন তাহলেই তারা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন।