ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ ইতিমধ্যেই বাঙালির সেরা উৎসবের দিনগুলি এই বছর পার হলেও, দুর্গাপুজোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি বছর। প্রথা মেনে দশমীর দিন থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গার প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। দুর্গাপুর শহরের সবচেয়ে বেশী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় দামোদর নদের বীরভানপুর ঘাটে। নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে জল দূষণের আশঙ্কা থাকে। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্কও ওঠে। কিন্তু দামোদরকে দূষণের থেকে বাঁচাতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্দিষ্ট একটি পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন যাতে বিসর্জন করতে এসে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। এছাড়াও দামোদরের যে জায়গা থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় সেই ঘাটে আসা যাওয়ার পথে সমস্ত আগাছা পরিস্কার করা, বিসর্জনের জন্য ২০০ ফুটের মতো জায়গা নির্দির্ষ্ট করে সেখানে নাইলনের জাল ফেলা যাতে বিসর্জনের সময় প্রতিমার কাঠামোসহ প্লাস্টিক বা অন্যান্য সামগ্রী সরাসরি জলে না মিশে এই নাইলনের জালে আটকে যায়। পরে সহজেই সেই জাল তুলে ভাষানের সব সামগ্রী বের করে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা যায় যার ফলে দামোদরের জল দূষণ মুক্ত করা যায়। নির্দিষ্ট এই জায়গার বাইরে যাতে কেউ প্রতিমা নিরঞ্জন করতে না পারে তার জন্য কড়া নজরদারির রাখা হয়েছিল। পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় যে কোন ধরনের অশান্তি ও বিপদ এড়াতে কোকওভেন থানার পুলিশ ও ডুবুরিসহ বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মী মোতায়েন ছিল। এবং প্রতিমা বিসর্জনের পরে কাঠামোগুলিও ক্রেন দিয়ে দামোদর নদের বীরভানপুর ঘাট থেকে তুলে সাফাই করানো হয়। নদীর জলকে দূষণ মূক্ত করতে দুর্গাপুর নগর নিগমের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।