রাজ্যে করোনার বলি আরও এক,হুগলীর আক্রান্তের দুর্গাপুর যোগ নিয়ে উদ্বেগ

0
781

ডেটলাইন নিউজ ডেস্কঃ করোনার দৌড় অব্যাহত। দমদমের পর রাজ্যে ফের আরও এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। ফলে এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যেকরোনায় দু জনের মৃত্যু হল। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে। রবিবার রাত ২টো নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ বছরের মহিলার। তিনি কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কালিম্পংয়ের মহিলা। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। মৃত মহিলার মেয়ে এবং চিকিৎসককে হোম–কোয়ারেনটিনে রাখা হয়েছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথ্যা এবং তার জেরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা। বাংলায় কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১।স্বাস্থ্যভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, গোটা রাজ্যের ৪৭হাজার ১৩০ জনকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। ৪৫৭ জনেরকরোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যে এই প্রথম কোনওচিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলেন। ৫২ বছর বয়সি ওইচিকিৎসক একজন অ্যানাসথেটিস্ট। সম্প্রতি দিল্লিগিয়েছিলেন। ১৬ মার্চ শহরে ফেরেন। ১৭ মার্চহাসপাতালের কাজে যোগ দেন। ২১ পর্যন্ত নিয়মিত কাজকরেছেন। ২৪ মার্চ থেকেই সর্দি, জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টেরমতো উপসর্গ দেখা যায় তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসার পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তাঁর থুতুরনমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এদিকে, হুগলির শেওড়াফুলির বাসিন্দা ৫৯ বছরের প্রদীপ চ্যাটার্জী নামে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে দুর্গাপুরবাসীর মধ্যে। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরী করতেন। সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। জানা গেছে ১৬ মার্চপ্রথম জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও সর্দিও ছিল।তখন তিনি ডাক্তার দেখান এবং সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু তিনি জ্বর নিয়েও দুর্গাপুরে অফিসে যাওয়া করেছেন বলে জানা গেছে। ২০ মার্চ ফের জ্বর আসে তাঁর।এরপরই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ভরতি করেসল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর উপসর্গ দেখেই সন্দেহ করেন চিকিৎসকরা।আক্রান্তের পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, ট্রেন সফরেরসময়ই কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি।ওই ব্যক্তির রিপোর্ট মেলার পর তাঁর ছেলে-সহ পরিবারেরবেশ কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার দুর্গাপুরে তাঁর গতিবিধি নিয়ে খোঁজ করা চলছে। তবে অনেক আগেই তিনি দুর্গাপুর ছেড়ে হুগলী চলে যাওয়ায় দুর্গাপুরবাসীরে কাছে তেমন কোন উদ্বেগের কারন নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here