খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোক ওভেন থানার তিনটি বড় সাফল্য

0
397

ডেটলাইন দুর্গাপুর: আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট গড়ে ওঠার পর অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি দায়িত্ব এসে পড়ে দুর্গাপুরের অন্যতম এক বড় থানা কোক ওভেন থানার ওপর। ফলে সর্বদাই সজাগ থাকতে হয় এই থানার আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীদেরও। দিনরাত চলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় টহলদারি। সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয় অপরাধ জগতের দিকে। সেই কাজে একাধিক সাফল্য এসেছে। এবার প্রায় একসঙ্গে তিনটি পৃথক অপরাধ ক্ষেত্রের অপরাধীদের ধরতে সফল হল কোক ওভেন থানা। মোট তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছে বেআইনি গাঁজা ব্যবসায় অভিযুক্ত দুর্গাপুর সিনেমা হল রোডের বাসিন্দা মুকেশ প্রসাদ। বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ আসছিল সে এলাকায় বেআইনি গাঁজার ব্যবসা করে। অবশেষে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তার বাড়ি থেকে পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। তাকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয়। কিভাবে তার বাড়িতে অস্ত্র এলো কেনই বা সে বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিল এবং সে কোনো অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও কোক ওভেন থানার আরও একটি বড় সাফল্য হল একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করা। পুলিশ গোপন সূত্র খবর পায় যে রাতুরিয়া এলাকায় একটি চার চাকা গাড়ি করে পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল জড়ো হয়েছে। স্থানীয় কোনো কারখানায় ডাকাতি করাই তাদের লক্ষ্য। খবর পাওয়ার পরই গভীর রাতে সেখানে হানা দিয়ে তৎপরতার সঙ্গেই পুলিশ তিনজন ডাকাতকে ধরে ফেলে। দুজন অবশ্য পালিয়ে যায়। এই তিনজন ধৃত হল ওয়ারিয়ার বাসিন্দা চন্দন সাউ (২৭), নয়াবাজার এর বাসিন্দা সন্তোষ চৌধুরী (২৫) ও বিহারী পাড়ার বাসিন্দা বিক্রম মন্ডল(২৫)। এদেরও দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয় এবং তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের অন্যদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক ট্রাক চলককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ,কদিন আগেই দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানা থেকে টিএমটি রড ভর্তি লরি নিয়ে ত্রিপুরা যাওয়ার পথে কোন এক জায়গায় লক্ষাধিক টাকার সেই রডগুলি ওই চালক বিক্রি করে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয় এবং কুলটির হাসানপুরা থেকে ওই লরি চালককে গ্রেফতার করে তাকে আদালতে পেশ করে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে পুলিশ তাকে জেরা করে বিক্রি করা ওই টিএম টি রডগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোক ওভেন থানার ওসি পদে যোগ দিয়েছেন বিজন সমাদ্দার। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জোর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধ দমনে তৎপর হয়েছেন। আর তাতেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে বড় সাফল্য এসেছে। বিজনবাবু জানিয়েছেন,কোক ওভেন থানা এলাকায় অপরাধ দমনে তিনি এবং তার সহকর্মীরা বিশেষ তৎপর রয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here