কোনো মিছিল নয়,তরুন মজুমদারের দেহদানের সিদ্ধান্ত পরিবারের

0
703

ডেটলাইন কলকাতাঃ প্রয়াত হলেন বাংলার একাধিক জনপ্রিয় সিনেমার পরিচালক পদ্মশ্রী সহ পাঁচবারের জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক তরুন মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১। প্রখ্যাতকোনো শোক মিছিল হবে না। হবে না কোনো দাহকর্ম। কারন,মৃত্যুর পর তাঁর দেহদানের ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছে অনুসারেই, তাঁর মরদেহ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। দেহদান করা হবে এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রয়াত তরুন মজুমদারের পরিবার।১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।আজ সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। প্রসঙ্গত, পরিচালনায় তাঁর অভিষেক ‘যাত্রিক’-এর হাত ধরে ৷ ১৯৬৩ পর্যন্ত শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘যাত্রিক’-এর মাধ্যমেই ছবি পরিচালনা করেন তরুণ মজুমদার ৷ তরুণ মজুমদারের প্রথম পরিচালিত ছবি উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ (১৯৫৯)। তার পরিচালিত প্রথম জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি ‘কাঁচের স্বর্গ’ (১৯৬২)। এরপর ‘পলাতক’ (১৯৬৩) নিমন্ত্রন,সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা – এই সব ছবি পরিচালনার মাধ্যমে তিনি প্রশংসিত হন। তার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭) কুহেলী (১৯৭১) শ্রীমান পৃথ্বিরাজ (১৯৭৩) ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০)বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে। কিংবদন্তি পরিচালকের প্রয়াণে বাংলার সিনেমা জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা অভিনেত্রীদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তরুন মজুমদার চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেও, সিনেমীপ্রেমী বাঙালি তাঁকে আজীবন মনে রাখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here