এবিএলের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের খুনিকে ধরল পুলিশ

0
959

ডেটলাইন দুর্গাপুরঃ তিনদিন আগেই দুর্গাপুরের পার্কিং জোনের কর্মী বিষ্ণু থাপা খুনের মূল অভিযুক্ত দীপক সাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে দুর্গাপুর পুলিশ। সেই সাফল্যের পর এবার আরও এক সাফল্য পেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এবার গ্রেফতার হল জাতীয় সড়কের ধারে এবিএল মোড়ের কাছে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক অনুপ তেওয়ারীর খুনের মূল অভিযুক্ত বুলি দাস ওরফে নির্মল নামে এক ব্যবসায়ীকে। উল্লেখ্য,গত ৫ আগস্ট এবিএলের জঙ্গলে অনুপ তেওয়ারি নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে দুর্গাপুরের বিধান নগরের বাসিন্দা বুলি দাস নামে এই ব্যধবসায়ীকে গ্রেফতার করে এবং তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত বুলি দাস ও মৃত অনুপ তেওয়ারি দু’জনই‌ লোহার ছাঁটের ব্য বসা করতেন। তাদের মধ্যে ব্য বসার টাকা পয়সার পাওনা নিয়ে ঝামেলা চলছিল।অনুপের কাছে বুলি নাকি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা পেত কিন্তু অনুপ সেই টাকা কিছুতেই দিচ্ছিল না। এই গন্ডগোলের জেরেই বুলি অনুপকে খুন করে বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে। আরও জানা গেছে,অনুপের কাছে পানাগড়ের ঠিকানা লেখা আধার কার্ড পাওয়া গেলেও সে আসলে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তাই বুলি এক মহিলাকে কাজে লাগিয়ে অনুপ তেওয়ারিকে কৌশলে উত্তর প্রদেশ থেকে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে। ঐ মহিলাকে নিয়ে অনুপ ডানকুনির একটি হোটেলে এক রাত কাটিয়ে দুর্গাপুরে ফেরে। এরপর দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর বি-জোনের রাজেন্দ্র প্রসাদ রোডের জগন্নাথ মন্দিরের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে অনুপকে নিয়ে যায় বুলি। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে রাতের অন্ধকারে মৃতদেহটি এবিএলের জঙ্গলে ফেলে দেয়। পুলিশ বুলির সঙ্গে প্রসেনজিৎ কোনার নামে আরও এক যুবকেও গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ এখন বুলি দাসের সঙ্গি ঐ মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। এছাড়াও মৃত অনুপ কেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হয়েও পানাগড়ের ঠিকানায় ভুয়ো পরিচয় পত্র করেছিল সেবিষয়টিও পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে। পুরো ঘটনাটি নিয়েই তদন্ত করছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here