ডেটলাইন কলকাতাঃ সাপের কামড় খাওয়া রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের অ্যান্টিভেনাম কাজ করছে না। এবার তাই ভিন রাজ্যের বদলে পশ্চিমবঙ্গেই সাপের বিষ থেকে অ্যান্টিভেনাম তৈরীর দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। আসলে ভিন রাজ্যে থেকে আনা অ্যান্টি স্নেক ভেনামগুলি ইদানিং তেমন কাজ করছে না। সেগুলির গুনগত মান আগের থেকে অনেক নেমে গেছে বলে অভিযোগ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,সাপের কামড়ের পর আগে যেখানে ১০ থেকে ২০ ভাওয়াল অ্যান্টি স্নেক ভেনাম দিলেই কাজ হতো। সেখানে এখন ৩০ থেকে ৪০ ভাওয়াল অ্যান্টি স্নেক ভেনাম দিলেও বাঁচানো যাচ্ছে না সাপে কামড়ানো রোগীদের। বর্ষার মরশুম এলেই এরাজের একাধিক জেলায় বাড়ে সাপের উপদ্রব। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা,দুই মেদিনীপুর,মুর্শিদাবাদসহ বাঁকুড়া,পুরলিয়া,হাওড়া,হুগলি জেলায় সাপের কামড়ে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। রোগীরা সাধারনত সরকারী হাসপাতালেই আসে চিকিৎসার জন্য। সাপে কামড়ালে প্রথমে নাক মুখ থেকে রক্ত পরতে শুরু করে। খুব দ্রুত হাত পা শরীর অবশ হতে শুরু করে। সেই অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে অ্যান্টি স্নেক ভেরাম দিতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ভিন রাজ্য থেকে যেসব ভেনাম আসছে সেগুলির কার্যক্ষমতা খুবই কম। চিকিৎসকরা তাই রোগীকে বাঁচাতে ৩০ থেকে ৪০ ভাওয়ালের অ্যান্টি স্নেক ভেনাম দিচ্ছেন রোগীদের। কিন্তু তাতেও সাপে কামড়ের রোগীদের বাঁচানো যাচ্ছে না বলে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিযোগ। একারনেই এবার এই রাজ্যের সাপের বিষ থেকে অ্যান্ট ভেনাম তৈরীর প্রস্তাব দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কেন এরকম প্রস্তাব? জানা গেছে,এরাজ্যে আসা অ্যান্টিভেনামের সিংহভাগই আমদানি হয় তামিলনাড়ুর মহাবলীপুরম থেকে। কিন্তু ভিন রাজ্যের সাপের বিষের চারিত্রিক গুনের সঙ্গে এরাজ্যের সাপের বিষের চরিত্রগত গুণের অনেক তফাৎ রয়েছে। সেকারনেই ভিন রাজ্যে থেকে আনা অ্যান্টিভেনাম এখানকার রোগীদের শরীরে কাজ করছে না। তাই এবার এরাজ্যের সাপের বিষ থেকেই অ্যান্টি স্নেক ভেনাম তৈরীর প্রস্তাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। বিষয়টি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।