ডেটলাইন আসানসোলঃ হঠাৎই একদিন আসানসোলের ডিআরএম প্রশান্তকুমার মিশ্র নিজেই সাধারন যাত্রীদের মতো চড়ে বসেছিলেন আসানসোল-শিয়ালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। সেদিন তিনি নিজের চোখেই ট্রেনটির চরম বেহালদশা পরখ করেন। বুঝতে পারেন যাত্রীদের অভিযোগ যথার্থই। দেখতে পেয়েছিলেন কোথাও সিট ছেঁড়া, কোথাও ফাটা। সেগুলি বাস্তবিকই বসার অযোগ্য। কামরায় লাইট থাকলেও সেগুলি জ্বলে না। চলে না কোথাও ফ্যানও। গরমে কষ্ট করেই যাত্রা করতে হয়ে সাধারন ও নিত্যযাত্রীদের। ট্রেনের শৌচাগারগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেগুলিতে ঢোকা যায় না। এসব দেখে ডিআরএম সাহেব সেদিনই ঠিক করেছিলেন ট্রেনটির আমূল সংস্কার করতে হবে। ভাবার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু হয়ে যায়। অবশেষে কয়েক মাসের মধ্যেই ট্রেনটির খোলনলচে বদলে ঝা চকচকে করে তোলা হয়েছে। ট্রেনের কামরায় লাগানো হয়েছে এলইডি লাইট,নতুন ফ্যান। দূরপাল্লার ট্রেনগুলির প্রিমিয়াম ক্লাসের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলির মতো করে দেওয়া হয়েছে সিটগুলি। মেঝেতে পাতা হয়েছে ম্যাট। ট্রেনে আধুনিক এবং বায়ো টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রেনের কোচে সৃজনশীলতা বাড়াতে আসানসোলের প্রাচীন দ্রষ্টব্য স্থানগুলির ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেই ছবিতে আসানসোল রেল ডিভিশনের বহু প্রাচীন নিদর্শন এবং রেল ইঞ্জিনও উঠে এসেছে। আসানসোল ইন্টারসিটিকে নতুনভাবে পেয়ে খুশি যাত্রীরাও। আজ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আসানসোল স্টেশনে পতাকা নেড়ে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা আসানসোল-শিয়ালদাগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রার আনুষ্ঠানিক শুভসূচনা করলেন আসানসোলের ডিআরএম প্রশান্তকুমার মিশ্র। তিনি জানান,ট্রেনটিকে দেশের প্রথম সারির প্রিমিয়াম ট্রেনের রূপ দেওয়া হলেও ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। আগামী দিনে এসি কামরারও ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই ডিভিশনের অন্যান্য ট্রেনগুলিকেও একইভাবে সাজিয়ে তোলা হবে।














