আফ্রিকার জঙ্গলের বিষাক্ত মাকড়সা ট্যারেন্টুলা কি এরাজ্যে ?

0
3555

ডেটলাইন বাঁকুড়াঃ যেভাবে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও বিষাক্ত মাকড়সার দেখা মিলছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি আফ্রিকার জঙ্গলের বিষাক্ত মাকড়সা ট্যারেন্টুলা এবার পশ্চিমবঙ্গে এসে পড়েছে? যদিও সব মাকড়সাই যে ট্যারেন্টুলা এমন ভাববার কোন কারন নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবু যে ভাবে বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাকড়সার দেখা মিলছে তাতে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে মানুষের মধ্যে। বিষাক্ত মাকড়সার দেখা মিলেছে পটাশপুর, মহিষাদলে। খোদ মেদিনীপুর শহরেও ট্যারেন্টুলার খোঁজ পাওয়া গেছে। এর আগেও এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিষাক্ত মাকড়সার খোঁজ মিলেছে।  এমনকি কলকাতার গড়িয়ার রক্ষিতের মোড়ে বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে আহত হয়েছেন এক গৃহবধূ। তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে বিষাক্ত মাকড়সা ট্যারেন্টুলা। এখনও পর্যন্ত ট্যারেন্টুলার কামড়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যদিও চিকিৎসকরা এব্যাপারে নিশ্চিত নন। মৃত ব্যক্তির নাম পিন্টু সাউ। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটদা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী প্রণতিদেবী জানিয়েছেন,তাদের ৯ বছরের ছেলের চিকিৎসার জন্য তারা চেন্নাই গিয়েছিলেন। চেন্নাই থেকে ডাউন কন্যাকুমারী এক্সপ্রেসে তাঁরা ফিরছিলেন। চেন্নাই স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই ঘুমের মধ্যে পায়ে কিছু কামড়েছে বলে চেঁচিয়ে ওঠেন তাঁর স্বামী। তিনি দেখেন, কালো মাকড়সার মতো একটা কিছু চলে গেল। এরপর তাঁর স্বামীর বাঁ পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কোনরকমে খড়গপুরে নেমে অসুস্থ স্বামীকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আধ ঘণ্টা আগেই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন। প্রণতিদেবীর দৃঢ় বিশ্বাস ট্যারান্টুলার কামড়েই  তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। দুই মেদিনীপুর,হুগলী,নদীয়ার পর এবার মাকড়সার দেখা মিলল বাঁকুড়াতেও। আজ বাঁকুড়ার খাতড়ার বেনাগ্রামে এক বিরল প্রজাতির মাকড়সা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো । স্থানীয় বাসিন্দা প্রলয় পাত্র তার নিজের বাড়ির উঠানে প্রথম বিরল প্রজাতির এই মাকড়সাটি দেখতে পান। ট্যারেন্টুলা জাতীয় মাকড়সাটি দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় উৎসাহ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। দেখা যাচ্ছে যেভাবে জেলায় জেলায় ট্যারেন্টুলার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন রাজ্যের বন দফতরও। বিষয়টি নিয়ে তারাও ভাবতে শুরু করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here