আসানসোলে ডিলিট সম্মানে অভিভূত শেখ হাসিনা

0
821

আসানসোল, ২৬ মেঃ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে অন্ডালে কাজি নজরুল বিমানবন্দরে নামেন  শেখ হাসিনা। এরপর কড়া নিরাপত্তায় ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রওনা দেন আসানসোলের উদ্দেশ্যে। বেলা ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান তিনি। সঙ্গে ছিল ২০টি গাড়ির কনভয়, ২টি বাস। দুপুর ১টা নাগাদ সাম্মানিক ডক্টর অফ লিটারেচার প্রদান করা হয় শেখ হাসিনাকে। ডিলিট সম্মান সমগ্র বাঙালি জাতীকে উৎসর্গ করেন শেখ হাসিনা। বলেন ডিলিটের আমন্ত্রন বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থাকলেও বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল এর জন্মদিনে তারই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট সম্মানের আমন্ত্রনে তিনি নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি। এদিন ডিলিট সম্মান পাওয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভূয়ষী প্রশংসা করলেন তিনি। পাশাপাশি কবি নজরুলের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিমান বন্দর গড়ে তোলায় সাধুবাদ জানান রাজ্যসরকারকে। বলেন, নজরুলকে নিয়ে দুই বাংলাতেই কাজ চলছে। আসলে রাজনৈতিক সীমারেখায় ভাগাভাগি থাকলেও রবীন্দ্র নাথ নজরুলকে ভাগ করা যায়নি। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধু মুজিবরের মধ্যে কোথাও একটা মিল আছে। তারা উভয়েই বিদ্রোহের কারণেই কারাবাস করেছেন। তাই নজরুল বিদ্রোহী কবি হলে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান রাজনৈতিক কবি। এছাড়াও তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের ঋণ ভোলার নয়, তবে ভবিষ্যতে সন্ত্রাস মাদক ও হানাহানি প্রতিরোধে প্রতিবেশী দেশগুলির পারস্পরিক আরোবেশী সহযোগীতা দরকার। এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১৯জন ছাত্রছাত্রীকে সম্মান জানানো হয়। হাসিনার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের ১৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে চায়। ৪টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বিধানসভায়। আমাদের সরকার ৭ বছরে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪৭টি কলেজ তৈরি করেছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here