ডেটলাইন দুর্গাপুর,২৮ জুলাইঃ দুর্গাপুর থেকে চুরি যাওয়া বিপুল পরিমান দামী বৈদ্যুতিক সরঞ্জম উদ্ধার সহ এই দুঃসাহসিক চুরির সঙ্গে যুক্ত তিন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার পুলিশ। ধৃত তিনজন হল নীতিশ কুমার যাদব (২৫),বাড়ি বিহারের ছাপড়া জেলায়, প্রতাপ সিং (৪২) বাড়ি হাওড়ায় ও অনুজ কুমার(২৮),বাড়ি হাওড়ায়। ধৃত অনুজ কুমারের কাছ থেকেই চুরি যাওয়া প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জমগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রথম দুজনকে গ্রেফতারের সূত্রেই তাদের থেকে অনুজ কুমারের খোঁজ পায় পুলিশ। সোমবার অনুজ কুমারকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয়। জানা গেছে, কোক ওভেন থানা এলাকার নারায়নপুর থেকে এমএস স্টার পাওয়ার কর্পোরেশন নামে একটি সংস্থা থেকে গত ১২ জুলাই ১১ কেভি ইউজি কেবল ড্রাম সহ বেশ কিছু দামী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি হয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এই সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জম গুলি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা ছিল। সংস্থার মালিক মহম্মদ তৌফিক আলি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করেও চুরির মালের কোনো হদিশ না পেয়ে অবশেষে ২১ জুলাই কোক ওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পরই কোক ওভেন থানার আধিকারিক মহঃ মইনুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাব ইন্সপেক্টর রিন্টু মাহাতোকে। তদন্তে নেমে প্রথমেই গাড়ির ড্রাইভার নীতিশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিঙ্গাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে চুরির ওই দামি বৈদ্যুতিক সরঞ্জম গুলি সে হাওড়ার লিলুয়া এলাকার মালিপঞ্চঘোড়ায় বিক্রি করেছে। এরপর নীতিশকে নিয়ে পুলিশ হাওড়ার লিলুয়ার নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রতাপ সিং নামে আর একজনকে গ্রেফতার করে। প্রতাপকে জেরা করে অনুজ কুমার নামে একজনের সন্ধান পায় পুলিশ এবং তাকে জেরা করতেই চুরি যাওয়া মালপত্রের হদিশ পায় পুলিশ। অবশেষে তার ডেরা থেকেই চুরির সমস্ত মাল উদ্ধার করে পুলিশ। বৈদ্যুতিক ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শঙ্কর দাস নামে ভোল্টাজ সংস্থার এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার। তদন্তের সময় তিনিও পুলিশের সঙ্গে হাওড়ায় গিয়েছিলেন। তিনি এই তদন্তের দায়িত্বে থাকা আইও রিন্টু মাহাতোর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, আমি ওনার সঙ্গে থেকে দেখেছি উনি কতটা দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মালপত্র উদ্ধারে সফল হয়েছেন। অন্যদিকে,এমএস স্টার পাওয়ার কর্পোরেশন সংস্থার মালিক মহঃ তৌফিক আলিও বলেছেন,অভিযোগ জানানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই এতো দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করে চুরির সমস্ত মালপত্র উদ্ধার করে আনবে এটা ভাবতেই পারিনি। তিনি মনে করেন পুলিশ যে সত্যি কাজ করে এই ঘটনাই তার এক আদর্শ উদাহরন। তিনি পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।