সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ কোক ওভেন থানার অধীন রেল কলোনির একটি ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙে আলমারীতে থাকা সোনা ও রুপোর কিছু গহনা ও নগদ কিছু টাকা নিয়ে চম্পট দেয় এক চোর। রেলকর্মী অনিল কুমার কদিন আগে বিহারের সাসারামে দেশের বাড়ি গিয়েছিলেন। ১৬ মে ভোরের দিকে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তার ঘরের দরজার তালা ভাঙা। তার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে এই চুরির ঘটনা তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন কোক ওভেন থানায়।অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং এলাকায় নজরদারী শুরু করে। চুরির ঘটনার দিন রাতের দিকে দুর্গাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এক যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে জিঙ্গাসাবাদ করলে তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জর করেন। এরপর ধৃত বাদশা খান নামে ওই দুষ্কৃতিকে জিঙ্গাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরে রেল কলোনির ফাঁকা বাড়িতে সেই তালা ভেঙে চুরি করেছে। সে ক্ষুদিরাম কলোনিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে বলে পুলিশকে জানায়। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ক্ষুদিরাম কলোনিতে তার বাড়িতে যায় পুলিশি। বাড়ির সামনেই একটি বাইকের ডিকিতে চুরির মালপত্র আছে বলে সে পুলিশকে জানায়। পুলিশ চুরি যাওয়া সোনারুপোর গহনা ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করেছে। জানা গেছে, একটি লোহার রড সে সবসময় বাইকের সঙ্গে বেঁধে রাখত। সেই রড দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যে কোন বন্ধ বাড়ির তালা ভেঙে ফেলতে সে বেশ পারদর্শী। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে সে বাইকচুরির ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত। আগেও একাধিক বাইক চুরির ঘটনায় রানীগঞ্জ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল সে। এছাড়া বিহারেও বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক বাইক চুরির অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বহুদিন রানীগঞ্জ এলাকায় থাকার পর এখন সে দুর্গাপুরের ক্ষুদিরাম কলোনিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে অপরাধমূলক কাজকর্ম করছিল।