ডেটলাইন দুর্গাপুর: সঙ্গীত এক সাধনা। বিভিন্ন জায়গায় অনেক ছেলেমেয়ের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে প্রতিভা। কিন্তু তারা কেবল সুযোগ না পাওয়ার কারণেই হয়ত অকালে হারিয়ে যায়। আসানসোল দুর্গাপুর সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলার সেই সব লুকানো সঙ্গীত প্রতিভাদের সর্ব সমক্ষে তুলে আনার লক্ষেই দুর্গাপুরে শুরু করা হয়েছে সুপার সিঙ্গার নামে এক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়। এবছর এই প্রতিযোগিতা তৃতীয় বছরে পড়ল। অডিসনে অংশ নিয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রতিযোগীরা। তাদের থেকে বাছাই দের নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সৃজনী হলে আয়োজিত হয় সুপার সিঙ্গার এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। ১৬ নভেম্বর ওই প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত সিজন থ্রি সুপার সিঙ্গার খেতাব জিতে নিয়েছে জামুড়িয়ার বাসিন্দা বি কম এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সঙ্গীত শিল্পী বিজয় শঙ্কর চক্রবর্তী। চূড়ান্ত পর্বে ৬৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সঙ্গীত শিক্ষার সমস্ত দিক বিবেচনা করে বিজয়কেই শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান দিয়েছেন প্রতিযোগিতার বিচারকরা। মা মাসীদের থেকেই গানের প্রতি আগ্রহ জেগে ওঠে বিজয়ের মধ্যে। বলা যায় সঙ্গীত পরিবার থেকেই উঠে এসেছে এবারের সুপার সিঙ্গার খেতাব জয়ী শঙ্কর। তার মা ও বাবা তবলা শিল্পী। মা চাঁপা চক্রবর্তী জানান, তাদের পরিবারে প্রায় সকলেই সঙ্গীত চর্চার সঙ্গে যুক্ত। বিজয় সেই পরিবারে বড় হওয়ায় তার মধ্যেও সঙ্গীতের প্রতি টান তৈরী হয়। পরে ওকে আমরা সঙ্গীত শিক্ষকের কাছে তালিম নিতে পাঠাই। আমরা চাই সে যেন গানের মাধ্যমেই শুধু জামুড়িয়া নয়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার নামও উজ্জ্বল করুক। আর বিজয় তারও স্বপ্ন বড় সঙ্গীত শিল্পী হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই সে এগোতে চায়। এই সম্মান তাকে তার লক্ষ্য পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলেই তার বিশ্বাস।

উল্লেখ্য, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলর ধৃতি ব্যানার্জী জালান এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় তিন বছর আগে এই দুর্গাপুর সুপার সিঙ্গার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই সঙ্গীত প্রতিযোগিতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলায়। দেখা গেছে এবারের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহর ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকেও প্রতিযোগীরা এখানে অডিসন দিতে এসেছিল।